বিয়ের বয়স হয়ে গেলেও অনেক সময় দেখা যায়, বিয়েতে দেরি হয়। এমনকী পাত্র বা পাত্রী ঠিক থাকা সত্ত্বেও বিয়েতে নানা ধরনের বাধা আসে। বাস্তু মতে, কুণ্ডলীতে মঙ্গল দোষের কারণে বিয়ে সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে বয়স বাড়তে থাকে কিন্তু, উপযুক্ত জীবনসঙ্গী পাওয়া যায় না।
বাস্তু মতে, ছোটখাটো কিছু প্রতিকারে বিয়ের বাধা এড়ানো যায়। জানুন কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখলে, দাম্পত্য জীবনের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে এবং আপনি একজন ভাল জীবনসঙ্গী পাবেন।
* বাস্তু অনুসারে বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েদের দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘুমানো উচিত নয়। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘুমালে সুসম্পর্ক হয় না বা বিয়েতে বাধা আসতে পারে।
* বিবাহযোগ্য ছেলে এবং মেয়েদের বিয়ে এবং সম্পর্কের সমস্যা এড়াতে উত্তর দিকে পা রেখে ঘুমানো উচিত।
* এই ছেলে-মেয়েদের কালো রঙের পোশাক থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। বাস্তু মতে, কালো রংকে হতাশার প্রতীক মনে করা হয়। যতটা সম্ভব হলুদ বা লাল রঙের পোশাক পরুন। প্রকৃতপক্ষে, কালো রং শনি, রাহু এবং কেতু, তিনটিই প্রতিনিধিত্ব করে।
* বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিয়ের জন্য আসা লোকজনের সামনে কালো রঙের পোশাক পরলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অন্যদিকে হলুদ বা হালকা গোলাপি রঙের পোশাক পরলে বিয়ে তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হয়।
* যখনই কারও সঙ্গে বিয়ের কথা বলবেন, মুখ পূর্ব দিকে রাখবেন।
* বাস্তু অনুসারে লাল, হলুদ বা সবুজ রঙের পোশাক পরা ছেলেদের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। সম্ভব হলে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা উচিত।
* কুণ্ডলীতে মঙ্গলের অশুভ অবস্থার কারণে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হতে পারে। এজন্যে ঘরে গোলাপি বা আকাশী নীল রং করা উচিত।
* বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েদের একাধিক দরজা বা জানালা আছে এমন ঘরে ঘুমাতে হবে। ঘরে যেখানে বাতাস ও আলো নেই সেখানে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন।
* মেয়ের ঘর উত্তর-পশ্চিম দিকে হলে বিবাহ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় না। এর পাশাপাশি ভগবান বৃহস্পতির আরাধনা করলে বিয়ে ও সম্পর্কের বাধাও দূর হয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)