scorecardresearch
 

দুর্গাপুজো-মহালয়ার সম্পর্ক তৈরি করেছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র : নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি

সাহিত্যিক তথা পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি জানান, মহালয়ার সঙ্গে আদতে দুর্গাপুজোর কোনও সম্পর্কই নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই দিনে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান বা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনে মনে মনেই কোথাও যেন দুর্গাপুজো ও মহালয়ার মধ্যে এক সম্পর্ক স্থাপন করে নিয়েছেন মানুষ। বলতে গেলে বীরন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রই যেন সেই সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছেন।

Advertisement
মহালয়া ও দুর্গাপুজোর মধ্যে সম্পর্কের ব্যাখ্যা মহালয়া ও দুর্গাপুজোর মধ্যে সম্পর্কের ব্যাখ্যা
হাইলাইটস
  • মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর কোনও সম্পর্ক নেই
  • আগে পঞ্চমী-ষষ্ঠীতেও হত চণ্ডীপাঠ
  • জানালেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি

মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ। মহালয়া মানেই দোরগোড়ায় শারোদৎসব, যাকে বলে একেবারে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) ফাইনাল কাউন্টডাউন। মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চণ্ডীপাঠই যেন বলে বলে দেয়, মায়ের আসতে আর দেড়ি নেই। আকাশে বাতাসে যেন শোনা যায় ঢাকের বাদ্যি, আগমনী সুর। 

মহালয়াতেই স্থায়ী হয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ

কিন্তু এই মহালয়া আসলে কী? এর সঙ্গে কী আদৌ দুর্গাপুজোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এই প্রসঙ্গে সাহিত্যিক তথা পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি জানান, মহালয়ার সঙ্গে আদতে দুর্গাপুজোর কোনও সম্পর্কই নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই দিনে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান বা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনে মনে মনেই কোথাও যেন দুর্গাপুজো ও মহালয়ার মধ্যে এক সম্পর্ক স্থাপন করে নিয়েছেন মানুষ। বলতে গেলে বীরন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রই যেন সেই সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছেন। নৃসিংহপ্রসাদবাবু আরও জানাচ্ছেন, আগে কখনও পঞ্চমী, কখনও বা ষষ্টীর দিনেও এই চণ্ডীপাঠ করেছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। তবে শেষ পর্যন্ত মহালয়ার দিনেই তা স্থায়ী হয়ে যায়। 

অগ্নিপুরাণে যা বলা আছে...

তাহলে মহালয়ার তাৎপর্য কী? নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি (Nrisingha Prasad Bhaduri) জানাচ্ছেন, অগ্নিপুরাণ অনুসারে এই দিনে পিতৃপুরুষরা তাঁদের অন্তরীক্ষলোক থেকে অনেকটাই নিচে নেমে আসেন। সেইসময় যাঁরা তাঁদের বংশধর তাঁরা তিল-জল অর্পণের সুযোগ পান। আর সেই তিল-জল পেয়ে তৃপ্ত হন পিতৃপুরুষরা। এক্ষেত্রে নৃসিংহপ্রসাদবাবু আরও জানাচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী পিতৃপুরুষের ক্ষেত্রে একটা দিন মানে একটা বছর। আর সেই কারণেই যাঁরা পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ করেন, ঠিক তার পরের বছর সপিণ্ডকরণ করেন। অর্থাৎ এভাবেই বছরের পর বছর পিতৃপুরুষকে সারাদিনের জন্য অন্ন-পানীয় অর্পণ করা হয়। 

যদিও আমজনতার অনেকের কাছেই কিন্তু মহালয়ার প্রভাতে (Mahalaya 2021) বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে'ই বয়ে নিয়ে আসে দুর্গাপুজোর বার্তা, হয়ত আগামিদিনেও আনবে। 

Advertisement

আরও পড়ুন - কুমারী পুজোয় পূজিতা ১-১৬ বছরের কন্যারা, জেনে নিন বয়স অনুসারে নাম


 

Advertisement