Sawan Upay: শ্রাবণ মাস শুরু হতে চলেছে। যেহেতু এই বছর শ্রাবণ মাস অধিক দিনের , তাই ভক্তরা শিবের আশীর্বাদ পেতে দ্বিগুণ সময় পাবেন। শ্রাবণের এই সময়ে করা শুভ কাজ অনেক উপকার দেবে। এই সময়ে এমন কাজ করা উচিত যা ভগবান শিবের প্রিয়। সেই সঙ্গে শ্রাবণ মাসের সোমবার ব্রত ও ভোলেনাথের পূজা করতে হবে নিয়ম-কানুন মেনে। ধর্ম ছাড়াও, বাস্তুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে, শ্রাবণ মাস সম্পর্কে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রাবণ মাসে রোপণ করা শুভ উদ্ভিদ। ভগবান শিবের প্রিয় এই গাছগুলি যদি শ্রাবণ মাসে ঘরে লাগানো হয় তবে অপার ধন লাভ হয়। বর্ষায় এসব গাছ লাগালে সৌভাগ্য আসে।
শ্রাবণ মাসে এই গাছগুলো লাগান, টাকায় ঘর ভরে যাবে
বেল পাতা
বেল পাতা ভগবান শিবের খুব প্রিয়। তাই শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে বেল গাছের উপস্থিতি সমস্ত বাস্তু দোষ দূর করে। যে বাড়িতে বেল গাছ বা চারা আছে সেখানে টাকার অভাব হয় না। বরং এমন বাড়িতে সর্বদা মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে।
তুলসী গাছ
যদিও শিবকে তুলসী নিবেদন করা নিষেধ, তবে শ্রাবণ মাসে ঘরে তুলসী গাছ লাগানো খুবই শুভ। এছাড়াও প্রতিদিন তুলসীর পুজো করা খুবই উপকারী। এছাড়াও কার্তিক মাসও বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর জন্যও অত্যন্ত শুভ।
কলা গাছ
কলা গাছের পূজা করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন। শ্রাবণ মাসের যেকোনো একাদশীতে বাড়িতে একটি কলা গাছ লাগিয়ে পুজো করুন। এটি করার ফলে, ভাগ্য আপনাকে প্রতিটি কাজে সহায়তা করতে শুরু করে। দাম্পত্য জীবনের সমস্যা দূর হয় এবং সুখ আসে।
লজ্জাবীত গাছ
শ্রাবণ মাসের যে কোনো শনিবার বাড়িতে লজ্জাবতী গাছ লাগালে ভগবান শিবের পাশাপাশি শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এতে করে জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হয় এবং আপনি প্রচুর ধন-সম্পদ ও উন্নতি লাভ করেন।
চম্পা গাছ
শ্রাবণ মাসে এই গাছ লাগালে শুভ ফল পাওয়া যায়। এর সাদা ফুল ঘরে সুখ ও শান্তি বজায় রাখে। বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে লাগালে ভালো হবে।
ধুতুরা গাছ
এই গাছটি ভগবান শিবের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই তার পূজায় কালো ধুতুরা ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শিব ধুতুরায় থাকেন। এই ক্ষেত্রে, বাড়িতে একটি ধতুরা গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
অশ্বত্থ গাছ
শ্রাবণ মাসে প্রতিদিন অশ্বত্থ গাছে জল দেওয়াও খুব শুভ। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় অশ্বত্থ গাছের নীচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। এতে করে সকল বাধা দূর হয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)