প্রতিটি গাছের নিজস্ব বিশেষ গুণ রয়েছে। এর আকৃতি, রং, গন্ধ, ফল ও ফুল বিভিন্ন গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। কথিত আছে যে, গ্রহ- সম্পর্কিত উদ্ভিদের যত্ন নিলে এবং প্রতিদিন পুজো করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। এমন দুটি উদ্ভিদ রয়েছে, যেগুলি শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই পুজো বিশেষ উপকারে লাগে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই গাছগুলির পুজো করলে বাড়িতে সুখ- সমৃদ্ধির অভাব হয় না।
জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শনিদেব হলেন সূর্যের পুত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে কর্মের দাতা বলে মনে করা হয়। শনিদেব প্রকৃতির ভারসাম্য প্রদান করেন। শনিদেব ন্যায়বিচার পছন্দ করেন। শনিদেব কর্মের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে ফল দেন। শনিবার শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়। শনি সম্পর্কিত উদ্ভিদের নাম শামি। শনির কৃপা পেতে এবং মহাদশা থেকে মুক্তি পেতে শামী গাছ বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অশত্থ গাছের পুজো করলেও শনি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান হয় জীবনে।
শামি গাছের সঙ্গে শনির সম্পর্ক
শামি গাছ যে কোন অবস্থায় টিকে থাকতে পারে। এমনকী অত্যন্ত শুষ্ক অবস্থায় এটি ক্ষতি করতে পারে না। এর ভেতরেও রয়েছে ছোট ছোট কাঁটা। এর গুণাবলী এবং শান্ত প্রকৃতির কারণে এটি শনিদেবের সঙ্গে যুক্ত। কথিত আছে যে, শনিবার সন্ধ্যায় শামি গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালিয়ে শনি সংক্রান্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কুণ্ডলীতে শনি অশুভ হলে শামি কাঠে তিল দিয়ে যজ্ঞ করতে হবে। শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়ার প্রভাব কমতে পারে।
অশত্থ গাছের সাথে শনির সম্পর্ক
অশত্থ গাছের গুণাগুণ শামির মতোই। এছাড়াও অশত্থকে শনির দেবতা শ্রী কৃষ্ণের রূপ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় অশত্থ গাছের পুজো করলে শনির মহাদশা কেটে যায়। শনির দশা থেকে মুক্তি পেতে অশত্থ গাছের নিচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এছাড়া শনির কারণে যদি বংশ বৃদ্ধি বা সমৃদ্ধিতে বাধা থাকে, তাহলে অশত্থ গাছ লাগাতে আপ্রেন বাড়িতে। এর ফলে শনির বক্র দৃষ্টির প্রভাবও কমে যায়।