মন্দির বা ঠাকুরঘর সঠিক দিকে হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি পুজোর স্থানে বাস্তুর কিছু বিশেষ নিয়মের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে, জীবনে নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ঠাকুরঘর তৈরির সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত, জেনে দিন।
* এই দিকে উপাসনার স্থান রাখুন
ঠাকুরঘর তৈরি করতে উত্তর-পূর্ব, পূর্ব বা উত্তর দিককে প্রাধান্য দিন। এই দিকগুলিকে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। সিঁড়ির নিচে বা টয়লেটের পাশে কখনই ঠাকুরঘর রাখবেন না। উপাসনার ঘর বেসমেন্টে বা উঁচু জায়গায় হওয়া উচিত নয়।
* প্রতিমা স্থাপন
ঠাকুরঘরের ভিতর মূর্তি রাখা উচিত। তবে মনে রাখবেন প্রতিমার উচ্চতা ৯ ইঞ্চির বেশি বা ২ ইঞ্চির কম হওয়া উচিত নয়। বাতাসের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে, প্রতিমাগুলিকে একে অপরের থেকে কিছুটা দূরে রাখুন। পুজো করার সময় প্রতিমার পা বুকের সমান হওয়া উচিত। মূর্তির অবস্থান এমন হওয়া উচিত যাতে, প্রার্থনা করার সময় ব্যক্তির পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে থাকে।
* ঠাকুরঘরে সুগন্ধ
মনে রাখবেন ঠাকুরঘরে যেন সব সময় ধূপের গন্ধে সুগন্ধযুক্ত থাকে। এছাড়া প্রার্থনার বই, ধূপ, প্রদীপ ইত্যাদি দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে রাখুন। তাদের প্রতিমার উপর স্থাপন করা উচিত নয়।
* দেওয়ালএবং মেঝের রঙ সাবধানে নির্বাচন করুন
ঠাকুরঘরের জন্য হালকা নীল, সাদা এবং হালকা হলুদের মতো শান্ত রং বেছে নিন। সাদা বা ক্রিম মেঝের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে গাঢ় রং এড়িয়ে চলাই ভাল।
* প্রার্থনা কক্ষের জন্য আলো
ঠাকুরঘর যেন অন্ধকার না হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে। প্রাকৃতিক আলো আসার জন্য উত্তর-পূর্ব দিকে একটি জানালা রাখা যেতে পারে।
* কাঠের দরজা
ঠাকুরঘরের জন্য কাঠের দরজা থাকতে হবে। পোকামাকড় এড়াতে এই দরজাগুলিতে দুটি শাটার এবং একটি থ্রেশহোল্ড থাকা উচিত। প্রার্থনা কক্ষের প্রবেশদ্বার থেকে প্রতিমার দিকটি দূরে থাকতে হবে।
* এই জিনিসগুলোও রাখবেন না
ভুলবশত, মৃত্যু, যুদ্ধ ইত্যাদি নেতিবাচক শক্তিকে বোঝাচ্ছে এরকম ছবি ভুল করে ঠাকুর ঘরে রাখবেন না। এই জায়গার কাছাকাছি কোন ডাস্টবিন থাকা উচিত নয়।