Astrology: হিন্দু ধর্মে, সম্পদের দেবী লক্ষ্মী হিসাবে বিবেচিত হয়। কথিত আছে, দেবী লক্ষ্মীর কৃপাতেই মানুষ সম্পদ পায়। লক্ষ্মী দেবীকে খুশি করার জন্য প্রত্যেক মানুষই নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। শাস্ত্রেও দেবী লক্ষ্মীর মহিমা ও তাঁকে খুশি করার উপায় বলা হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, কোনও ব্যক্তির এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা দেবী লক্ষ্মীর ক্রোধের কারণ হতে পারে। তাই এসব অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। না হলে চিরজীবন আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়।
প্রথম অভ্যাস: শাস্ত্রে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উত্তম বলে মনে করা হয়েছে। আমাদের বড়রা প্রায়ই এই কথা বলে থাকেন। অন্যদিকে, সূর্যোদয়ের পর ঘুমানোকে ভালো মনে করা হয় না। কথিত আছে যে যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পরে ঘুমায় তার উপর দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন না। অন্যদিকে সন্ধ্যায় ঘুমানোকেও অশুভ মনে করা হয়। যে বাড়িতে সদস্যরা সন্ধ্যায় ঘুমায় সে বাড়িতে আর্থিক সমস্যা সবসময়ই থাকে।
দ্বিতীয় অভ্যাস: বলা হয় মা লক্ষ্মী পরিচ্ছন্নতা খুব পছন্দ করেন। তাই, দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার আগে, ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। যে ব্যক্তি তার বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেয় না তার উপর মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। তাই প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ঘর পরিষ্কার করুন। ভোরের আগে ঘর ঝাঁট দিন। আপনি যদি দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে চান তবে ঘরে কোনও ময়লা জমা হতে দেবেন না।
তৃতীয় অভ্যাস: প্রায়ই আমরা মানুষকে হাতে লবণ দিয়ে থাকি। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এবং ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এমনটা করা ভালো বলে মনে করা হয় না। মানুষের এই অভ্যাস মা লক্ষ্মীকে রাগিয়ে দিতে পারে। যখনই কাউকে লবন দেবেন তখন পাত্রে রেখে দিবেন।
চতুর্থ অভ্যাস: খাদ্য মা লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেকেরই খাবার ফেলে যাওয়ার অভ্যাস আছে। আপনি নিশ্চয়ই আপনার বড়দের বলতে শুনেছেন যে প্লেটে খাবার রাখা উচিত নয়। খাবার নষ্ট করা উচিত নয়। কারণ তা করলে পরিবারে দারিদ্র্য আসে। এছাড়াও, বাড়িতে কখনও লক্ষ্মীপ আশীর্বাদ থাকে না।
** এই প্রতিবেদন সার্বিক গণনার ভিত্তিত লেখা। ব্যক্তি বিশেষে ফল ভিন্ন হতে পারে।