হাতে টাকা আসুক, এটা সকলেই চান। অর্থলাভের জন্যই পরিশ্রম করেন সকলে। জীবনে বাঁচতে গেলে টাকার প্রয়োজন। টাকা ছাড়া জীবন চলে না। তাই টাকা খুবই দামি।
তবে সবসময় সবার অর্থভাগ্য ভাল যায় না। সকলেই চান হাতে যেন প্রয়োজন মতো টাকা থাকে। তাই রোজগার করার পরেও যাতে খরচ না হয়, সঞ্চয় হয়, সেদিকে সকলেই নজর রাখেন।
হিন্দু মতে, টাকাকে 'লক্ষ্মী' রূপে বর্ণনা করা হয়। তাই অনেকে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন। আবার ধনসম্পদের আরাধ্য দেবতা বলা হয় কুবেরকে। মনে করা হয়, কুবের তুষ্ট হলে সংসারে কখনও অর্থকষ্ট হয় না।
জ্যোতিষ মতে, কুবেরের বাহনকেও শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, কুবেরের বাহন হল বেজি। যা আবার সাপের যম। আমাদের চারপাশে এই প্রাণী অনেক সময়ই দেখা যায়। জ্যোতিষ মতে, বেজি ঘরে ঢুকলে অর্থলাভ হতে পারে। বদলে যেতে পারে জীবন।
মনে করা হয় যে, কেউ যদি বেজি দেখতে পান, তা হলে তা শুভ লক্ষ্মণ। বেজি দেখলে ভাগ্য বদলাতে পারে। বিশ্বাস করা হয় যে, সকালে ঘুম থেকে উঠে কেউ বেজি দেখলে ভাগ্য বদলায়।
জ্যোতিষ মতে, বেজি হল সূর্যের প্রতীক। যদি কোনও ব্যক্তি সকালে উঠে বেজি দেখেন, তা হলে শীঘ্রই ধনলাভ হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘরে বেজি দেখলেও অর্থলাভ হয়। কুবের যেহেতু ধনসম্পদের দেবতা। তাই তাঁর বাহনকে দেখা খুবই শুভ বলে বিশ্বাস করা হয়। আর বেজি যদি ঘরে আসে, তা হলে অর্থলাভ হয়। আবার অফিস যাওয়ার আগে বা কোনও শুভ কাজে যাওয়ার সময় বেজির দর্শন পেলে সব কাজে সাফল্য আসে।
শাস্ত্র মতে, বেজিকে দেখলে কুবেরের দর্শনলাভ হয়। বেজিকে লুকোনো সম্পদের প্রতীক হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। বেজি সাফল্য, সম্পদ, বুদ্ধিমত্তার প্রতীক বলে বিশ্বাস করা হয় জ্যোতিষ মতে। তাই ঘরে বেজি এলে যেমন সাপের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, ঠিক তেমনই ভাগ্যের চাকাও ঘোরে।