Vastu Tips: লক্ষ্মী দেবীকে খুশি করতে এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা মানুষ জানে না। এমনই কিছু কথা বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে, যা মা লক্ষ্মী পছন্দ করেন না। এসব কারণে ঘরে নেতিবাচকতা দেখা দেয়। বাড়ির রান্নাঘরে এমন চারটি জিনিস রয়েছে যা সবসময় প্রচুর পরিমাণে আনা উচিত, কারণ এই জিনিসগুলি রান্নাঘরে শেষ হয়ে গেলে নেতিবাচকতার প্রভাব বাড়তে শুরু করে এবং দেবী লক্ষ্মী বিরক্ত হন।
আটা: প্রতিটি রান্নাঘরে আটা দেখতে পাওয়া যায়। রান্নাঘরে সাধারণত আটা থাকলেও মাস শেষে তা ফুরিয়ে যায়। এমন অবস্থায় খেয়াল রাখবেন এগুলো বেশি পরিমাণে আনতে হবে, যাতে আটা ছাড়া রান্নাঘর না হয়। বাস্তুশাস্ত্রে, সম্পূর্ণরূপে আটা শেষ করা অশুভ বলে মনে করা হয়, এটি সম্মানের ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।
হলুদ: হলুদ শুধুমাত্র খাবারে রঙ দেয় না, এটি শুভ কাজেও ব্যবহৃত হয়। জ্যোতিষী ডক্টর অরবিন্দ মিশ্র বলেন, ঘরে হলুদ শেষ করা খুবই অশুভ। এতে বৃহস্পতি গ্রহের দোষ হয়। রান্নাঘরে হলুদ ফুরিয়ে গেলে শুভ কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তাই, হলুদ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই নিয়ে আসুন।
লবণ: লবণ ছাড়া খাবারের স্বাদ অনুপস্থিত থাকে, একইভাবে রান্নাঘরে লবণ ফুরিয়ে গেলে, তা জীবনকেও স্বাদহীন করে দিতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে রান্নাঘরে রাখা বাক্সে লবণ সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। এর ফলে বাস্তু দোষ হয় এবং ঘরে অর্থের সমস্যা আসতে শুরু করে।
চাল: বাস্তু মতে রান্নাঘরে ভাত থাকা খুবই জরুরি। পূজোয় ভাত ব্যবহার করা হলেও রান্নাঘরে ভাত সম্পূর্ণ শেষ হলে শুক্র গ্রহকে দোষারোপ করা হয়। এর ফলে ঘরে টাকা সংক্রান্ত সমস্যা আসতে শুরু করে। তাই ঘরের চাল একেবারে ফুরিয়ে যেতে দেবেন না। বরং শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে কিংবা নতুন করে চাল নিয়ে আসতে হবে।