সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর শোয়ার ঘর হল বিশ্রামের জায়গা। মানুষের জীবনে প্রশান্তি আনে বেডরুম। কিন্তু জানেন কি বেডরুমের বাস্তু ঠিক না থাকলে জীবনে আসতে পারে অশান্তি ও ঝামেলা। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির শোয়ার ঘরে শুক্র ও চন্দ্রের প্রভাব রয়েছে। এই স্থানে বাস্তু দোষ থাকলে ঘরে অশান্তি আসে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্পর্কের ফাটল ধরতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তুশাস্ত্রে শোওয়ার ঘর সম্পর্কিত প্রধান ভুলগুলি কী কী-
বেডরুম কোন দিকে থাকা উচিত?
ঘরের শোয়ার ঘরের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম দিক সেরা বলে মনে করা হয়। এছাড়া পশ্চিম দিকও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শোয়ার ঘরের দিক উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে না হওয়াই শ্রেয়। এতে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা বেড়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধতে পারে। উত্তর-পশ্চিম দিকে বেডরুম থাকলে জীবনে অর্থহানি এবং চাপ নিয়ে আসে।
বেডরুমে বিছানা রাখার নিয়ম
বেডরুমের বিছানা পূর্ব-পশ্চিম বা উত্তর-দক্ষিণ দিকে থাকা উচিত। ঘুমোনোর সময় মাথা সবসময় পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে থাকা উচিত। গেস্ট রুমের বিছানার মাথা পশ্চিম দিকে হতে পারে। বেডরুমের বিছানা কাঠের তৈরি হলে সবচেয়ে ভাল হবে। লোহা বা ধাতব বিছানা ভাল নয়। বিছানা আয়তক্ষেত্রাকার বা বর্গাকার হওয়া উচিত। গোলাকার বিছানা একদম রাখবেন না। বিছানার নীচে জুতো,চপ্পল ও জিনিসপত্র রাখবেন না।
বেডরুমের দেয়ালের রং কেমন হওয়া উচিত?
বেডরুমের দেওয়ালে গাঢ় রং একেবারেই রাখবেন না। গোলাপী, ক্রিম, হালকা সবুজ রং সেরা বলে মনে করা হয়। বিছানার সামনে কোনও আয়না থাকাও উচিত নয়। শোয়ার ঘরে টিভি ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রও রাখবেন না। আবর্জনার পাত্র, মন্দির এবং পূর্বপুরুষদের ছবিও শোয়ার ঘরে রাখা উচিত নয়। শোয়ার ঘরে হালকা সুগন্ধির ব্যবহারও উপকারী। বেডরুম মাঝে মাঝে নুন জল দিয়ে ধুয়ে নিন। অশুভ শক্তি দূর হবে।
বেডরুমে বাস্তু ত্রুটির প্রতিকার
আপনার শোয়ার ঘরের দিক যদি উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব হলে একটি বাটি সামুদ্রিক নুন বা কর্পূর রাখুন। উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে বেডরুমের দেয়াল সাদা বা হলুদ রং করুন। ল্যাভেন্ডারের গন্ধ আর্থিক উন্নতি করে। বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তোলে। বেডরুমের উত্তর-পশ্চিম কোণে চন্দ্র যন্ত্র স্থাপন করেও আপনি বাস্তুর ত্রুটি দূর করতে পারেন।
আরও পড়ুন- কথা বলার ধরন বলে দেয় সেই ব্যক্তি কেমন স্বভাব? যা বলছে সমুদ্রশাস্ত্র