'অন্ধ্র-আর বিহারের বাজেট'। ঠিক এই ভাষাতেই নির্মলার বাজেটকে অভিহিত করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই বাজেট হল সরকার টিকিয়ে রাখার। তাই বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশের জন্যই রয়েছে বড় বড় ঘোষণা। অন্যান্য রাজ্যগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
এই বাজেটকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কটাক্ষ করেছে,'কুর্সি বাঁচানোর বাজেট'। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,'এটা ব্যর্থ সরকারের ব্যর্থ অর্থমন্ত্রীর বাজেট। জিরো ওয়ারেন্টির ব্যর্থ বাজেট। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। সরকার ভেঙে পড়ার আগে সময় কেনার জন্য বাজেটের মাধ্যমে শরিক দলগুলিকে ঘুষ দিয়েছে বিজেপি'।
This BUDGET is a complete failure with ZERO WARRANTY, presented by a FAILED FINANCE MINISTER OF A FAILED GOVERNMENT. Instead of tackling urgent issues like unemployment, rising prices and growing inflation, the BJP has crafted a budget to bribe its coalition partners and buy time…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 23, 2024
আবকি বার ৪০০ পার স্লোগান দিয়ে লোকসভা ভোটের যুদ্ধে নেমেছিল মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। তবে ৪০০ আসেনি। বরং অনেক আগেই থমকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। আসেনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও। ২৪০ আসনেই সীমাবদ্ধ থেকেছে তারা। ফলে শরিক ছাড়া সরকার চালানো অসম্ভব। বিহারের নীতীশ কুমার আর অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনে সরকারে এসেছেন মোদী। বাজেটেও দেখা গেল, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কী কী পেল তারা?
তৃতীয় মোদী সরকার শরিকি নির্ভর হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, বড় বড় মন্ত্রক চন্দ্রবাবু ও নীতীশের দল পাবে। কিন্তু তা হয়নি। সরকারের বড় মন্ত্রকগুলি বিজেপির হাতেই রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আলাদা করে আর্থিক প্যাকেজে দাবি করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। বাজেটে আলাদা করে অন্ধ্রপ্রদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নের ঘোষণা রয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনের অধীনে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। পোলাভরম সেচপ্রকল্পের জন্য অর্থায়ন। এছাড়া জল, বিদ্যুৎ, রেল ও সড়ক নির্মাণে সাহায্য বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই শিল্প করিডর এবং হায়দ্রাবাদ বেঙ্গালুরু শিল্প করিডরে। বিকশিত ভারত প্রকল্পেও রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের নাম। গবেষণার জন্য অনুসন্ধান রিসার্চ তহবিলও বরাদ্দ করা হয়েছে চন্দ্রবাবুর রাজ্যকে।
বিকশিত ভারত প্রকল্পে রাখা হয়েছে বিহারকে। এছাড়া গয়া শিল্পতালুককে আর্থিক সাহায্যের কথাও রয়েছে বাজেটে। সেই সঙ্গে পর্যটনে বিহারের পরিকাঠামো উন্নয়নে রয়েছে ঢালাও সাহায্য। রাজগীর, নালন্দার উন্নয়নের সঙ্গে কাশীর আদলে করিডর তৈরি হবে বিষ্ণুপদ মন্দির এবং মহাবোধি মন্দিরে।