scorecardresearch
 

DA- Nabanna : ডিএ-র দাবি নিয়ে বড় জয় সরকারি কর্মীদের, নবান্নের সামনে লাগাতার ৭২ ঘণ্টা ধরনার অনুমতি

বকেয়া ডিএ-সহ একাধিক দাবিতে নবান্নের সামনে ধরনার অনুমতি চায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারা শহিদ মিনার চত্বরে ৩০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছে। মঞ্চে রয়েছেন সরকারি কর্মী ও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা।

Advertisement
Nabanna Nabanna
হাইলাইটস
  • ডিএ নিয়ে বড় পদক্ষেপ সরকারি কর্মীদের
  • নবান্নের সামনে ৩ দিন ধরে আন্দোলন

নবান্নের সামনে ধরনার অনুমতি পেল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর নবান্নের বাস স্ট্যান্ডে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই অনুমতি দেন। এই ধরনার ফলে লোকসভা  ভোটের আগে রাজ্য সরকারের উপর ডিএ নিয়ে আরও চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সরকারি কর্মীরা। 

বকেয়া ডিএ-সহ একাধিক দাবিতে নবান্নের সামনে ধরনার অনুমতি চায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারা শহিদ মিনার চত্বরে ৩০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছে। মঞ্চে রয়েছেন সরকারি কর্মী ও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। এর আগে সরকারি কর্মীদের তরফে হাওড়া পুলিশের কাছে এই ধরনার অনুমতি চাওয়া হয়। তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। তারপরই কোর্টের দ্বারস্থ হন সরকারি কর্মীরা। 

এদিন সরকারি কর্মীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিচারপতিকে জানান, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও সেখানে অবস্থান করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে নবান্নের সামনে কেন করা যাবে না? 

আরও পড়ুন

তখন বিচারপতি জানিয়ে দেন ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর নবান্নের সামনে ধরনা করতে পারবেন সরকারি কর্মীরা। তবে রয়েছে শর্ত। ৩০০-র বেশি আন্দোলনকারী একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে এই ধরনা করতে হবে। কোনও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নবান্ন তৈরি হওয়ার পর এই প্রথন কোনও সংগঠন ধরনাতে বসতে চলেছে। এটা ঐতিহাসিক জয়। সরকারি কর্মীদের ডিএ বহুদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। তাদের কানে কথা তুলে দিতেই এই মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলাতে জয় পেয়েছে সরকারি কর্মীরা। তবে শান্তি শৃঙ্খলা মেনে এই ধরনা করতে হবে। এবার যদি সরকারের টনক নড়ে।' 

Advertisement

প্রসঙ্গত, AICPI মেনে সরকারি কর্মীরা ডিএ দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন। সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। তবে এখনও সরকারের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ডিএ দেওয়া ঐচ্ছিক। আবশ্যিক নয়। যারা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চান, তারা কেন্দ্রের চাকরি করতে যান। 

এই মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাদের দাবি, দেশের প্রায় সব রাজ্যে ৩০ শতাংশের বেশি ডিএ দেয়। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পান মাত্র ৬ শতাংশ। এটা মেনে নেওয়া যায় না।  

 

Advertisement