কাছেই ডেডলাইন। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ২ হাজার টাকার নোট বদলের সময়সীমা জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। আপনার কাছে যদি ২ হাজার টাকার নোট থাকে, তাহলে কেন্দ্রের নির্ধারিত ডেডলাইনের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। সরকার এখনও ডেডলাইন বাড়ানোর ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা করেনি বলে জানা যাচ্ছে। সংসদের কয়েকজন সদস্য কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন, ২ হাজার টাকার নোট বদল বা জমা দেওয়ার ডেডলাইন কি বাড়ানো হচ্ছে? উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। গত ১৯ মে ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
২ হাজারের নোট জমার ডেডলাইন বাড়ছে?
সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট জমা দেওয়ার ডেডলাইন বাড়ানো হচ্ছে না। অর্থাত্ আপনার কাছে ২ হাজার টাকার নোট থাকলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জমা দিত হবে ব্যাঙ্কে। সংসদে বাদল অধিবেশন সুপ্রিয়া সুলে সহ একাধিক সাংসদ কেন্দ্রকে এই বিষয়ে জিগ্গেস করেন। কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ডেডলাইন অপরিবর্তিতই থাকছে।
মে মাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র
২ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে RBI। ২০১৬ সালে নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সে বার ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। বিপাকে পড়েছিলেন বহু মানুষ। এই নিয়ে সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। ৭ বছরের মাথায় এ বার ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১৮১ কোটি ২ হাজারের নোট তুলে নেওয়া হবে। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় নোটের ঘাটতি পূরণ করতে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট আনা হয়েছিল। বর্তমানে অন্য নোটগুলির জোগান যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই ২০১৮-১৯ সালে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
RBI-এর দাবি, ২০১৬ সালের পরিস্থিতিতে দেশীয় বাজারে নোটের জোগান সামাল দেওয়ার জন্যই ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট এনেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজারে যত পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তার ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭-র মার্চের আগে ছাপা হয়।