scorecardresearch
 

DA West Bengal-Mamata Banerjee : রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র প্রসঙ্গ তুললেন মমতা, জানালেন মহার্ঘ ভাতার পলিসিও

এদিকে পুজোর আগেই ফের ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। তারইমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (West bengal Dearness Allowance) নিয়ে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance)মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন
  • তারইমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (West bengal Dearness Allowance) নিয়ে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance)মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, AICPI অনুযায়ী, ডিএ দিতে হবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। এদিকে পুজোর আগেই ফের ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। তারইমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (West bengal Dearness Allowance) নিয়ে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। রাজ্য সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, শুধু ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয়। কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়, 'কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ভোটের আগে তাদের কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয়। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের চাকরি ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের চাকরির মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পলিসি আলাদা। রাজ্য সরকারের চাকরির পলিসিও আলাদা। কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে স্কলারশিপের টাকা দিচ্ছে না। রাস্তার টাকা দিচ্ছে না। সেই টাকা দিয়ে মুষ্টিমেয় লোককে ডিএ দিচ্ছ। উপরতলার মানুষদের সন্তুষ্ট করার জন্য।' 

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যে পলিসির কথা বলছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। কেন্দ্রীয় সরকার মহার্ঘ ভাতা দেয় সেটা ১ জানুয়ারি ও ১ জুলাই। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। আর কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো দেয় না। AICPI একটা স্বশাসিত সংস্থা। তাদের যে হিসেব সামনে আসে, সেই অনুযায়ীই দিয়ে থাকে।' 

আরও পড়ুন

Advertisement

আর এক মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন. 'মুখ্যমন্ত্রী ডিএ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা মিথ্যে বললেও কম বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ দেয়, সেটা রুটিনে পরিণত হয়েছে। তার সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকে এভাবে ডিএ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমল পর্যন্ত এই নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। আর ডিএ-র পলিসি কোনওদিন আলাদা হতে পারে না। রাজ্যের যে ডিএ মামলা সেখানে SAT আগেই জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের ডিএ দেওয়া নিয়ে কোনও পলিসি থাকলে সাটা জানানো হোক। ডিএ তো AICPI অনুযায়ী ঠিক হয়। গোটা দেশের সব রাজ্যেই এই এক নীতিই চালু রয়েছে। আর উনি এখন পলিসির কথা বলছেন। রাজ্য সরকারের ডিএ দেওয়ার যদি কোনও পলিসি থাকে তাহলে তারা আদালতে কেন জানায়নি সেটা। SAT তো চেয়েছিল রাজ্যের কাছে জানতে। তখন তো রাজ্য সরকার বলতে পারেনি। আসলে মুখ্যমন্ত্রী এখন এগুলো বলছেন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে।' 

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা নির্ঝর কুণ্ডু এই নিয়ে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। কিন্তু যে রাজ্য সরকারগুলো ডিএ মেটাচ্ছে সরকারি কর্মীদের তাদের তো আর নেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাহলে তারা কীভাবে দিচ্ছে মহার্ঘ ভাতা।' তারপরই নির্ঝর কটাক্ষের সুরে বলেন, 'আমাদের মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো উচিত যাতে মোদী সরকার রাজ্যেও একটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক খুলে দেয়।'     

Advertisement