ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার অপেক্ষা করছেন সরকারি কর্মীরা। প্রতিবেদনে প্রকাশ আজ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করা হতে পারে। মহার্ঘ ভাতা বাড়লে লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর অ্য়াকাউন্টে মোটা টাকা ঢুকবে। গত বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, আজ ডিএ ঘোষণা না হলে দীপাবলীর আগে সরকার ৩ থেকে ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেবে। এই ঘোষণা করলে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে। একজন সরকারি কর্মী এন্ট্রি-লেভেল যদি প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে ৩ বা ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়লে ৫৪০-৭২০ টাকা বাড়বে। যা কার্যকর হবে ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে।
হিসেবটা দেখে নেওয়া যাক। যদি কারও বেতন প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা হয় এবং মূল বেতন ১৮ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি এখন ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ৯ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। প্রত্যাশিত ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পর একজন সরকারি কর্মী প্রতি মাসে ৯,৫৪০ টাকা পাবেন। অর্থাৎ ৫৪০ টাকা বেশি। আর সেই বৃদ্ধির হার যদি ৪ শতাংশ হয় তাহলে ১৮ হাজার টাকা হিসেবে একজন কর্মী মাসে ৯৭২০ টাকা সংশোধিত হারে ডিএ পাবেন।
ডিএ দেওয়া হয় সরকারি কর্মচারীদের, আর ডিআর দেওয়া হয় পেনশনভোগীদের। ডিএ এ বং ডিআর বছরে দুবার বাড়ানো হয় - জানুয়ারি এবং জুলাই। বর্তমানে, এক কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে শেষ বৃদ্ধিতে, কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে দেয়।তার আগে কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। মার্চের বৃদ্ধিতে কর্মীরা ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন।
ডিএ এবং ডিআর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) এর ১২ মাসিক গড় বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর ১ জানুয়ারী এবং ১ জুলাই ভাতাগুলি সংশোধন করে। সিদ্ধান্ত সাধারণত মার্চ এবং সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়।
২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ডিএ এবং ডিআর গণনা করার সূত্রটি সংশোধন করে।
একটি বেতন কমিশন সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর গঠিত হয়। তবে প্রতি ১০ বছর অন্তর বেতন কমিশন গঠিত হবেই এমন কোনও বিধিবদ্ধ নিয়ম নেই। যেহেতু ৭ম বেতন কমিশন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয়েছিল তাই এবছরই অষ্টম বেতন কমিশন গঠিত হবে বলে মনে করছেন সরকারি কর্মীরা।