ডিএ-র (Deraness Allowance) দাবিতে আন্দোলন চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়তে পারে পুজোর মধ্যেই (Durga Puja DA)। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীদের ভাতা এখনও বকেয়া রয়েছে। আর সেই বকেয়া পুজোর আগেই চান তাঁরা। সেই দাবিতে এবার মহামিছিল ও কর্মবিরতির ডাক রাজ্য সরকারি কর্মীদের। সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, ডিএ না মিললে লাগাতার ধর্মঘটের পথে নামবেন তাঁরা।
পুজোর আগেই পরপর ২ দিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদেরও দাবি, বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে পুজোর আগেই। এই দাবিতে মঙ্গল ও বুধবার অর্থাৎ ১০ ও ১১ অক্টোবর কর্মবিরতি পালিত হবে। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি দফতর, স্কুল, কলেজে এই কর্মবিরতি পালিত হবে। এমনটাই দাবি করেছে সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি।
এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নির্ঝর কুণ্ডু বলেন, 'এই সরকার অচল পয়সা। সরকারের কাছে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। তাই মঙ্গল ও বুধবার কর্মবিরতি ডাকা হয়েছে। সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ সব জায়গাতে কর্মবিরতি চলবে।'
সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়, এই কর্মবিরতির পরও সরকার যদি ডিএ না মেটায় তাহলে তারা লাগাতার বনধের পথেও হাঁটবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে আন্দোলন চললেও প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। তাদের মিলবে বর্ধিত হারে ডিএ। বেশ কয়েক মাস ধরে এই ডিএ ও ডিআর-এর দিকে তাকিয়ে ছিলেন সরকারি কর্মীরা। পুজো ও দীপাবলির মধ্যে ডিএ মিলুক, চাইছিলেন তাঁরা। তা সত্যি হতে চলেছে। সরকারি কর্মীদের জন্য আরও রয়েছে সুখবর। ১ জুলাই ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে এই নিয়ম৷ আগে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
আবার যৌথ মঞ্চের তরফেও সোমবার মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, পুজোর আগেই ডিএ মেটাতে হবে। ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এই মিছিলে হাঁটবেন প্রায় ৩২ টি সংগঠনের সদস্যরা।
এই জোটের সদস্য সংগঠনগুলির অভিযোগ, 'এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রতি বঞ্চনা আরও বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার AICPI অনুযায়ী ডিএ দিচ্ছে। অথচ এই সরকার ডিএ দেওয়ার নামগন্ধ করছে না। আমাদের দাবি, রোপা ২০১৯-এর যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা তা শীঘ্রই মেটাতে হবে। পুজোর সময় সরকারি কর্মীদের খরচ বাড়ে। অথচ এই সরকার যে ডিএ দেয়, তাতে সরকারি কর্মীদের পুজোর আনন্দ মাটি হতে চলেছে। এই সরকার দিল্লি যাচ্ছে খরচ করে। তারা এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করছে। দান ধ্যান করছে। কিন্তু সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করছে।' শুধু মিছিল নয়,