HDFC ব্যাঙ্ক নিয়ে বড় খবর। শেয়ার বাজারে ধসের কারণে দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক HDFC ক্ষতির সম্মুখীন। কারণ ৩ মাসে সেই ব্যাঙ্ক যা আয় করেছিল, তার ৫ গুণেরও বেশি এক মুহূর্তে সাফ। কীভাবে? এতে কি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের উপর কোনও প্রভাব পড়বে?
প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বুধবার খারাপ দিন হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে। এদিন সেনসেক্স ১৬০০ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। নিফটিও ৪৫০ পয়েন্টের বেশি পড়ে। তাতে বিনিয়োগকারীদের ৪ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকার লোকসান হয়েছে। আর তাতেই ক্ষতির সম্মুখীন HDFC।
বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের ৩০ শেয়ারের সেনসেক্স সকাল ৯.১৫ মিনিটে ৭১,৯৮৮-এরস্তরে নেমে আসে। যখন বাজার বন্ধ হয়, তখন তা ছিল ১৬২৮.০২ পয়েন্ট। যা প্রায় ২.২৩ শতাংশ কমে যায়। ৭১,৫০০.৭৬ স্তরে বন্ধ হয়। অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি এই সময়ের মধ্যে ৪৬০.৩৫ পয়েন্ট কমে ২১,৫৭১.৯৫ স্তরে বন্ধ হয়। স্টক মার্কেটে এই বড় পতনের কারণে, বিনিয়োগকারীদের ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদ উধাও হয়।
মার্কেটে দিনভর পতনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে HDFC ব্যাঙ্কের বিনিয়োগকারীদের৷ এই কোম্পানির শেয়ার ৮ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক স্টকে পতনের কারণে HDFC শেয়ারগুলি সারা দিন লাল সংকেত দেয়। সকাল ৯.১৫ মিনিটে ১৫৭০ টাকার স্তরে খোলে এবং ১৫২৮ টাকার নিম্ন স্তরে দিন শেষ করে। ব্যাঙ্কের শেয়ারের এই পতনের কারণে, বিনিয়োগকারীদের ১০০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
HDFC ব্যাঙ্কের শেয়ারের এই পতনও আশ্চর্যজনক। কারণ মঙ্গলবার কোম্পানিটি তাদের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ফলাফল ঘোষণা করেছিল। যা ছিল চমকপ্রদ। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই হিসেব অনুসারে, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক তিন মাসে ১৬,৩৭২ কোটি টাকা লাভ করেছিল। যেখানে, কোম্পানির বাজার মূলধন (HDFC Bank MCap) একদিনের লেনদেনে ১ লাখ কোটি টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় HDFC ব্যাঙ্কের বাজার মূলধন ১২,৭৪,৭৪০.২২ কোটি টাকা রেকর্ড করা হয়। কিন্তু বুধবার তা ১১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে আসে। যদি সেই অনুযায়ী দেখি, কোম্পানির মূল্য একদিনে ১০৬৭৪০.২২ কোটি টাকা কমেছে। HDFC ব্যাঙ্ক ছাড়াও, ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জের স্টক প্রায় ১০ শতাংশ কমে শেয়ার প্রতি ১৪৭.৮৫ টাকা হয়েছে। অনলাইন ফুড ডেলিভারি কোম্পানি Zomato-র শেয়ার ৪.৪৬% কমেছে।