গত জুলাই মাসে এনপিএস বাৎসল্য স্কিমের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই পেনশন স্কিম অনুযায়ী অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। বছরে হাজার টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তার বেশিও করতে পারেন অভিভাবকরা। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর এই স্কিম ঘোষণা করবেনয।
স্কিম অনুযায়ী, অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের নামে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তাঁরা নিজেরা এই স্কিমের নিয়ন্ত্রক হতে পারবেন। অর্থাৎ তখন এই NPS রেগুলার অ্যাকাউন্ট হয়ে যাবে।
পেনশনের সুবিধা:১৮ বছর বয়সের পর ও কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণের পরেও আয় যাতে নিশ্চিত থাকে সেজন্য এই স্কিম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। এতে দুইভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। যথা টিয়ার ওয়ান ও টিয়ার টু।
এই স্কিমে বিনিয়োগকারীর প্রি-ম্যাচিউর উইথড্রর বিকল্পও রয়েছে। এর মানে মেয়াদপূর্তির আগে স্কিম থেকে টাকা তোলা যাবে। এই স্কিমের লক-ইন পিরিয়ড ৩ বছর রয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের তারিখ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কোনও টাকা তুলতে পারবেন না।
অসুস্থতা বা শিক্ষার কারণে তহবিল থেকে ২৫ শতাংশ টাকা তোলা যেতে পারে। আবার অন্যদিকে শারীরিক অক্ষমতা থাকলে বিনিয়োগকারী ৭৫ শতাংশের বেশি টাকা তুলে নিতে পারবেন। শিশুর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র ৩ ক্ষেত্রে টাকা তোলা যাবে। সেটা আংশিকভাবে।
স্কিমটি পরিণত হবে তখনই যখন শিশুর বয়স ১৮ হবে। যদি তহবিলের পরিমাণ আড়াই লক্ষ টাকার কম হয় তবে একমুঠো টাকা তোলা যেতে পারে। একই সময়ে যদি পরিমাণ আড়াই লক্ষের বেশি হয় তাহলে তবে ২০ শতাংশ টাকা তোলা যাবে। বাকি টাকা দিয়ে অ্যানুইটি কেনা যাবে। এর মাধ্যমে শিশু নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে পেনশন পাবে।
আবার একই সময়ে একজন কিশোর বা কিশোরী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও এই স্কিমটি চালু রাখা যেতে পারে। যদি শিশুর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও এই স্কিমটি চালিয়ে যেতে হয়, তবে আপনাকে স্কিম সম্পর্কে জানাতে হবে। এবং এনপিএস বাৎসল্যকে এনপিএস টিয়ার ওয়ানে রূপান্তরিত করতে হবে।