NSE Scam Latest Development: এনএসই-র প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। ফলে যে কোনও সময় চিত্রাকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই। যদিও চিত্রার কাছে দিল্লি হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।
২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬-র ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএসই-র এমডি-সিইও ছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণ। তাঁর কার্যকালে উঠেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। এনিয়ে ১৯০ পাতার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। তাতে বলা হয়েছে, ২০ বছর ধরে এক অজ্ঞাত সাধুর নির্দেশে পেশাদার ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতেন চিত্রা। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এনএসই-তে নিয়ম ভেঙে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিমালয়ের ওই সাধুর কথাতেই। চাকরি দেওয়া থেকে পদোন্নতি- যোগীর পরামর্শেই নিয়েছেন চিত্রা। এমনকি সংস্থার গোপন কথাও তাঁকে বলেছেন।
এনএসই-তে বেনিয়মের ঘটনায় গত সপ্তাহে চিত্রার প্রাক্তন উপদেষ্টা আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। এই আনন্দকে হিমালয়ের সাধুর কথাতেই নিয়োগ করেছিলেন চিত্রা। মূলধনী বাজারে কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই তাঁকে নিয়োগ করেন।
২০১৩ সালের এপ্রিলে এমডি এবং সিইও-র মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে সুব্রহ্মণ্যমকে চাকরি দেন চিত্রা। বছরে বেতন ১.৩৮ কোটি টাকা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালের এপ্রিলে তাঁর মাইনে বেড়ে হয় ২.০১ কোটি। ২০১৫ সালে বেতন পৌঁছয় ৩.৩৩ কোটি। ২০১৬ সালে ৪.২১ কোটি টাকা বার্ষিক বেতন আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম। গ্রুপ অপারেটিং অফিসার হিসেবে পদোন্নতিও হয়। এসবই করেছেন চিত্রা করেছেন নিয়ম ভেঙে। অথচ একটা সময় দক্ষ আধিকারিক হিসেবে গণ্য করা হত তাঁকে। সেবির খসড়া দলিল থেকে এনএসই-কেও পরিচালনা করেছেন। সেই তিনিই এখন দুর্নীতি বিতর্কে।
আরও পড়ুন- অনুমানের চেয়ে পিছিয়ে আর্থিক বৃদ্ধি, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কমল GDP