দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবার নয়া নিয়ম আনছে সরকার। ৮ বছর বা তারও বেশি পুরনো গাড়ির উপর পরিবেশ কর (গ্রিন ট্যাক্স) চাপানোর প্রস্তাবে সায় দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের তরফ থেকে এই প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।
রাস্তায় অত্যধিত পুরনো গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেই মনে করছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মতামত জানার জন্য প্রতিটি রাজ্যের কাছেই এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বলা হয়েছে, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পুনর্নবীকরণের সময় ৮ বছরের বেশি বয়সের গাড়িকে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ সড়ক শুল্ক দিতে হবে। ব্যক্তিগত যানবাহনের ক্ষেত্রে, ১৫ বছর পরে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক পুনর্নবীকরণের সময় কর দিতে হবে। বাস ইত্যাদি গণপরিবহণের ক্ষেত্রে এই করের হারটি একটু কম হবে। এছা়ড়াও যে সব শহরে দূষণ খুব বেশি, সেখানে রোড ট্যাক্সের ৫০ শতাংশ গ্রিন ট্যাক্স নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও চাষের জন্য ব্যবহৃত ট্র্যাক্টির, টিলার ইত্যাদিকেও এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। গ্রিন ট্যাক্স থেকে সরকারের যা উপার্জন হবে সবটাই দূষণ রোধে ব্যবহার করবে সরকার। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে বাড়তে পারে নতুন গাড়ির চাহিদাও।
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআই দ্বারা নিযুক্ত একটি ওয়ার্লিং গ্রুপ কমিটি ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গে গাড়ির বিমার প্রিমিয়ামগুলিতে একটি নতুন বিভাগ চালু করার সুপারিশ করেছে। বিমা প্রিমিয়ামগুলিকে ট্র্যাফিক লঙ্ঘনের সঙ্গে সংযুক্ত করার সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি খসড়া রিপোর্টও জমা দিয়েছে।
একটি খসড়া প্রস্তাবনায়, কমিটি মোট ক্ষতিতে 'ট্র্যাফিক লঙ্ঘন প্রিমিয়াম' বা টিভিপি নামে মোট চারটি বিভাগের পাশাপাশি নতুন ক্ষতি হলে তা বিমার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছে। চারটি বিমার ভাগ হল- ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত বিমা, বেসিক থার্ড পার্টি বিমা, অ্যাডিশনাল থার্ড পার্টি বিমা এবং ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা প্রিমিয়াম। এর সঙ্গে জুড়তে পারে এই নয়া নিয়ম।