নতুন করে হাহাকার পাকিস্তানে। সেই দেশে এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকট চলছে। IMF পাকিস্তানকে সাহায্য় করলেও সরকার এখনও সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। দাম বাড়ছে জিনিসপত্রের। এবার এমন এক সিদ্ধান্ত নিল সেই দেশের সরকার, যার জেরে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে পাকিস্তানে। যা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ আম জনতা।
সেই দেশের সংবাদপত্র 'ডন'-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মূল্যবৃদ্ধিতে এমনিতেই সাধারণ মানুষের অবস্থা নাজেহাল। তারই মধ্যে সরকার পেট্রোল এবং হাইস্পিড ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে (Pakistan Petrol-Diesel Price Hike)। বিদ্যুৎ,আটা, ডাল, চাল, শাকসবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে। একই সঙ্গে সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোয় মাথায় হাত সাধারণ মানুষের।
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লিটারে যথাক্রমে ১০ টাকা ও ৬.১৮ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটারে প্রায় ৩০০ টাকা দাঁড়াল। সেই দেশের অর্থমন্ত্রকের তকফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মাত্র ১৫ দিন আগে পাকিস্তানে পেট্রোল এবং হাই স্পিড ডিজেলের দাম বেড়েছিল। ফলে মাত্র এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার দাম বাড়ার ফলে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জ্বালানি পণ্যের চার্জ ও করের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।
পাকিস্তানের সরকার বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর প্রতি লিটারে প্রায় ৭৭ টাকা কর আরোপ করে। সমস্ত ধরণের পেট্রোলিয়াম পণ্যের উপর সাধারণ বিক্রয় কর শূন্য। তবে সরকার প্রতি লিটারে ৬০ টাকা পিডিএল নেয়। আর সেই বোঝা বইতে হয় জনগণকে।
'ডন'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়তে পারে। পেট্রোল বেশিরভাগ ব্যক্তিগত পরিবহন, ছোট যানবাহন, রিকশা এবং দুই চাকার গাড়িতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়ে। যেহেতু ভারী ও বড় যানবাহন ডিজেলদ্বারা চালিত হয় সেই কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে যায়। এবারও তাই হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।