ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় জরুরি। অনেকেই আয়ের একটি অংশ এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে চান, যেখানে কষ্টার্জিত টাকা নিরাপদ থাকবে। সেই সঙ্গে মিলবে দুর্দান্ত রিটার্নও। নিরাপদ বিনিয়োগের সেরা গন্তব্য পোস্ট অফিস। অল্প বিনিয়োগ করেও আপনি দারুণ মুনাফা অর্জন করতে পারেন। এমনই একটি বাজেট স্কিম হল পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম। যার সুদও ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে বেশি।
পোস্ট অফিসে আট থেকে আশি-সকলের জন্যই রয়েছে সঞ্চয় প্রকল্প। টাইম ডিপোজিটের কথা বললে, এই স্কিমে দুর্দান্ত রিটার্ন মিলবে। সেই সঙ্গে সঞ্চয় সুরক্ষিত থাকবে। এর পাশাপাশি পাবেন কর ছাড়ের সুবিধাও। যার ফলে এই স্কিম খুবই জনপ্রিয়। এই স্কিমে পাঁচ বছরের জন্য অর্থ রাখতে পারেন। সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ সুদের হার ৭.৫ শতাংশ। অর্থাৎ রিটার্ন দেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমের অধীনে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ কর যায়।
সুদের হার কত
এতে ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের জন্য টাকা জমা রাখা যায়। এক বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে ৬.৯ শতাংশ সুদ মেলে। আর ২ বা ৩ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে পাবেন ৭ শতাংশ। ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে পাওয়া যাচ্ছে ৭.৫ শতাংশ সুদ।
সুদ থেকে লাখ টাকা কীভাবে আয় করবেন?
পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিটে সুদের আয় হিসেব করলে দেখা যাবে, কোনও বিনিয়োগকারী এই পোস্ট অফিস স্কিমে পাঁচ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিলে পাবেন ৭.৫ শতাং সুদ। এই সময়ে আমানতের উপর সুদ পাবেন ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭৪ টাকা। মেয়াদপূর্তির মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৭,২৪,৯৭৪ টাকা। অর্থাৎ শুধুমাত্র সুদ থেকে ২ লক্ষ টাকার বেশি উপার্জন করা সম্ভব।
কর ছাড়ের সুবিধা
টাইম ডিপোজিট স্কিমে গ্রাহককে আয়কর বিভাগ আইন ১৯৬১-এর ধারা ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়। এই সেভিংস স্কিমে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও খোলা যেতে পারে। ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুর অ্যাকাউন্ট পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে খোলা যেতে পারে। এতে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। সুদের টাকা বছর শেষের পর যোগ হবে। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। অর্থাৎ যত বেশি টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী মিলবে সুদ।