প্রত্যেকেই চান তাঁদের উপার্জনের কিছু টাকা সঞ্চয় করতে। যাতে সেই সঞ্চয়ের টাকা সময়ে-অসময়ে কাজে লাগে। এক্ষেত্রে সবার লক্ষ্য থাকে এমন জায়গায় টাকা সঞ্চিত রাখা যেখানে বেশি সুদ মেলে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এরকম ভালোরকম সুদ-সহ রিটার্ন পেতে সবথেকে কার্যকর স্কিম দিয়ে থাকে পোস্ট অফিস।
পোস্ট অফিসে এমন একাধিক স্কিম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় স্কিম হল পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম। এখানে টাকা বিনিয়োগ করলে তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই স্কিমে সুদ মেলে ৭.৫ শতাংশ। এই সুদের হার ব্যাঙ্কের দেওয়া সুদের থেকে অনেকটাই বেশি। আবার এই স্কিমে ডবল টাকাও রিটার্ন পাবেন আপনি।
এই স্কিমে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন মেয়াদের জন্য পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। এর আওতায় ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের জন্য টাকা জমা করা যাবে। আপনি যদি এক বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন তবে আপনি ৬.৯ শতাংশ সুদ পাবেন, যদি ২ বা ৩ বছরের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেন তবে আপনি ৭ শতাংশ সুদ পাবেন। আপনি যদি ৫ বছরের জন্য পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করেন তবে ৭.৫ শতাংশ সুদ পাবেন। তবে যদি গ্রাহকরা টাকা রিটার্ন হিসেবে ডবল পেতে চান, তাহলে পাঁচ বছরের বেশি সময়ের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
টাকা কীভাবে দ্বিগুণ হবে?
এবার টাকা দ্বিগুণ হওয়ার অঙ্কটা দেখুন। ধরা যাক একজন গ্রাহক পাঁচ বছরের জন্য ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি ৭.৫ শতাংশ হারে সুদও পাচ্ছেন। তাহলে এই সময়ের মধ্যে তিনি মোট আমানতের উপর ২,২৪,৯৭৪ টাকা সুদ পাবেন। তাহলে তাঁর বিনিয়োগ করা অর্থ ও সুদ যোগ করে মোট টাকার পরিমাণ হবে ৭,২৪,৯৭৪ টাকা৷
সেখানে টাইম ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করা অর্থ যদি ৯.৬ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হয়, তবে আপনি দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাবেন। অর্থাৎ ১১৪ মাস পর টাকা দ্বিগুণ হবে। সেক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে। টাইম ডিপোজিট স্কিমে, গ্রাহককে আয়কর বিভাগ আইন ১৯৬১-এর ধারা 80C-এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধাও দেওয়া হয়।
এই সেভিংস স্কিমে একক অ্যাকাউন্ট বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুর অ্যাকাউন্ট তার পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে খোলা যেতে পারে। এতে, সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।