বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই অনুযায়ী এবছর ভালো আয় করেছে তারা। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে RBI কোথা থেকে আয় করে? সেটা জানানোর আগে RBI-এর বার্ষিক রিপোর্ট দেখে নেওয়া যাক।
এবছর RBI-এর আয় পাকিস্তানের GDP-র থেকে আড়াই গুণ বেড়েছে। ৩১ মার্চ, ২০২৪ এর মধ্যে RBI-এর ব্যালেন্স শিট অনুযায়ী আয় বেড়ে ৭০.৪৮ লক্ষ কোটি (৮৪৪ বিলিয়ন ডলার) টাকা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) অনুসারে, পাকিস্তানের GDP আনুমানিক ৩৩৮.২৪ বিলিয়ন। গত আর্থিক বছরে আরবিআই-এর ব্যালেন্স শিট ছিল ৬৩.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার সময় যে আর্থিক অবস্থা ছিল তার থেকে অবস্থা এখন ভালো। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতিও নিম্নগামী হয়েছিল।
রিপোর্ট অনুসারে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) আয় ১৭.০৪ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে ২০২৪ সালের আর্থিক বছরে ব্যয় ৫৬.৩০% কমেছে। RBI-এর উদ্বৃত্ত বার্ষিক ভিত্তিতে বেড়েছে। সেই অঙ্কের টাকা সরকারের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়েছে।
RBI কোথা থেকে আয় করে?
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বা RBI সরকারি বন্ডের মাধ্যমে সুদ আদায় করে। বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগের মাধ্যমেও আয় হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শিটের প্রায় ৭০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদের আকারে, সেখানে ২০ শতাংশ সরকারি বন্ডের আকারে পায়। আবার RBI ডলার রিজার্ভ করে রাখে, দাম বাড়লে সেগুলি বিক্রি করে ভালো লাভ হয়। বাজারে বিনিয়োগের জন্য সরকার RBI-এর থেকে যে টাকা নেয় তা থেকেও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও অর্থ উপার্জন করে।
এছাড়াও, RBI অনেক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়, যার বিনিময়ে সুদ পায়। আরবিআই লভ্যাংশ দেওয়ার পরে যা অবশিষ্ট থাকে তা থেকেও সুদ পাওয়া যায়। এমনকী সোনা বিক্রি করেও টাকা আয় করে RBI।