বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে অন্যতম। এ দেশের অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বগামী। ভারতের অর্থনৈতিক সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাড়ছে মাথা পিছু আয়। সেই সঙ্গে সংখ্যা বাড়ছে কোটিপতিরও। ধনী ভারতীয়দের সংখ্যা এবং আয়-দুটোই দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সেন্ট্রাম ইনস্টিটিউশনাল রিসার্চের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে ৩১,০০০ জনের বেশি লোক প্রতি বছর ১০ কোটি টাকা আয় করছেন। বার্ষিক ৫ কোটি টাকা আয় করা লোকের সংখ্যা ৫৮,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর পর অধিক আয়ের ব্যক্তিদের (Income Group) উপার্জন ব্যাপক বেড়েছে। প্রাক-কোভিডের তুলনায় ৫০ লক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা বা তার বেশি আয় করা লোকের সংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেন্ট্রাম ইনস্টিটিউশনাল রিসার্চ রিপোর্ট (Centrum Institutional Research) অনুযায়ী, গত ৫ বছর অর্থাৎ ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান বলছে যে ভারতে কোটিপতির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এই ৫ বছরে ভারতে ১০ কোটি টাকার বেশি উপার্জনকারী লোকের সংখ্যা বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। বর্তমানে ৩১,৮০০ কোটিপতি বছরে এই আয় করেন। এই সময়ের মধ্যে ১০ কোটি টাকার বেশি আয়ের ব্যক্তিদের মোট সম্পদমূল্য ১২১ শতাংশ বেড়ে ৩৮ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যা ১২১ শতাংশ বৃদ্ধি।
এর পাশাপাশি ৫ কোটি টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ভারতীয়দের সংখ্যা বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। তাঁদের সংখ্যা ৫৮,২০০। ২০১৯-২৪ সালের মধ্যে তাঁদের মোট সম্পদ ১০৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪০ লক্ষ কোটি টাকা।
আয়ের উপর ব্রেক কষতে পারেনি করোনাও
পরিসংখ্যান বলছে,গত পাঁচ বছরে ভারতীয়দের আয় বিরাট বেড়েছে। এমন সময়েও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন দেশ করোনা অতিমারির ভয়ঙ্কর প্রকোপের মোকাবিলা করেছে। ভারতে উচ্চবিত্তদের (HNI) আয় ২০২৮ সালের মধ্যে বার্ষিক প্রায় ১৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। তা পৌছতে পারে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এ দেশে মাত্র ১৫ শতাংশ লোক রয়েছে যাঁরা পেশাদারদের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে থাকেন। বিত্তশালীদের আয় বেড়েছে কারণ তাঁরা চাকরির পরিবর্তে ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
কোটিপতি হওয়ার সূত্র
কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু যদি সঠিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে ১ কোটির লক্ষ্যে পৌঁছানো খুব কঠিন নয়! FundsIndia-র গবেষণা বলছে, ১০% বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদে মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপিতে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করুন। বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ১২ শতাংশ সুদ হিসেবে ৭ বছরেই আপনি ৫০ লক্ষ টাকা জমিয়ে ফেলবেন। ১ কোটি টাকায় পৌঁছতে লাগবে আরও ৩ বছর। এই ক্রমেই আরও ৫০ লক্ষ সম্পদ জমাতে লাগবে ২ বছর।