Rule Of 40: এই বছর বিএসইতে এখনও পর্যন্ত ৯২টি আইপিও চালু হয়েছে। ২৫টির বেশি কোম্পানির আইপিও এখনও আসা বাকি রয়েছে। এই কোম্পানিগুলি তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জন্য SEBI-তে তাদের খসড়া আইপিও নথি জমা দিয়েছে৷ বাজারে আইপিও যত আসছে, তা থেকে মানুষের আয় করার ক্ষমতাও তত বাড়ছে। মানুষ আইপিও থেকে আয় করার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন। আপনিও যদি IPO করার সুযোগ খুঁজছেন, তাহলে সেটা করার আগে আপনাকে অবশ্যই ৪০-এর নিয়ম (Rule Of 40) বুঝতে হবে। অঙ্ক না বুঝে বিনিয়োগ করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে।
প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে IPO কী? দেশে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এই কোম্পানিগুলির অনেকগুলি পরিবার বা কিছু শেয়ারহোল্ডার একসঙ্গে পরিচালিত হয়। যখন এই কোম্পানিগুলিকে মূলধনের প্রয়োজন হয়, তখন তারা নিজেদেরকে স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত করে এবং এটি করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল IPO ইস্যু করা অর্থাৎ প্রাথমিক পাবলিক অফার। এখন যখন কোম্পানিগুলি তাদের আইপিও চালু করে, বিনিয়োগকারীরা সেগুলি কেনে, তারা কোম্পানিতে কিছু শতাংশ শেয়ার পায়। আইপিওর পর কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়। এরপর যে কেউ কোম্পানির শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন।
IPO-এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০-এর নিয়ম কী?
৪০-এর নিয়ম (Rule Of 40) অনুযায়ী, কোম্পানির বৃদ্ধির হার এবং EBITDA (Earnings before interest, taxes, depreciation, and amortization) মার্জিন সমান বা ৪০ শতাংশের বেশি হতে হবে। আপনি যদি এটি উপলব্ধি করেন তবে আইপিও থেকে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার কখনই ক্ষতি হবে না। এটি প্রায়শই SaaS এবং প্রযুক্তিগত খাতে ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টার্টআপ সফ্টওয়্যার কোম্পানিগুলি নেতিবাচক EBITDA মার্জিন গ্রহণ করে যতক্ষণ না আপনার ব্যবসা ৫০-৬০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনও কোম্পানি পাবলিক লিস্টিংয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে 'গ্রোথ' এবং 'EBITDA মার্জিন' উভয়ই ইতিবাচক বা ৪০ শতাংশের বেশি করতে হবে। যাতে আপনার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় থাকে এবং তারা আত্মবিশ্বাসী থাকে যে ভবিষ্যতে আপনার কোম্পানিতে আরও উন্নতি হতে পারে।