যখনই টাকা বাঁচানোর কথা মাথায় আসে তখনই বেশিরভাগ মানুষ ফিক্সড ডিপোজিটের কথা ভাবেন। সেই কারণেই ভারতের ব্যাঙ্কগুলো নানা স্কিম নিয়ে আসে, যাতে গ্রাহকরা সেখানে ইনভেস্ট করে। একজন গ্রাহক সাধারণত সেখানেই টাকা রাখতে চান, যেখানে সুদ বেশি পাওয়া যায়।
যখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করেনি এবং সুদের হার ৬.৫ শতাংশ রেখেছিল, তখনই ব্যাঙ্কগুলি আকর্ষণীয় স্কিম এনেছিল। SBI, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB), HDFC-এর মতো ব্যাঙ্কগুলি ফিক্সড ডিপোজিটে বেশি সুদের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।
SBI MODS: এই স্কিমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল গ্রাহকরা কোনও চার্জ না দিয়ে যে কোনও সময় ১ হাজার টাকার গুণে তাদের টাকা তুলতে পারবেন৷ এছাড়াও, জমাকৃত অর্থের সুদে কোন কাটছাঁট করা হবে না। এই স্কিমের অধীনে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে ব্যাঙ্ক সর্বোচ্চ পরিমাণের সীমা নির্ধারণ করেনি। এসবিআই-এর অনলাইন পোর্টালে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
এই স্কিমের অধীনে, সাধারণ গ্রাহকরা ৭ দিন থেকে ৪৫ দিন সময়ের জন্য ৩% সুদ পাবেন। প্রবীণ নাগরিকরা ৩.৫০% হারে সুদ পাবেন। এরপর, ৪৬ দিন থেকে ১৭৯ দিনের স্থায়ী আমানতে, প্রবীণ নাগরিকরা ৫% এবং সাধারণ নাগরিকরা ৪.৫০% হারে সুদ পাবেন।
এই স্কিমের অধীনে, ১৮০ থেকে ২১০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগ করা হলে, তখন প্রবীণ নাগরিকরা ৫.৭% সুদ পাবেন এবং সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে তা হবে ৫.২৫%। একইভাবে, এক বছরের জন্য, প্রবীণ নাগরিকের জন্য ৭.৩০%, সাধারণ নাগরিকের জন্য ৬.৮০%। দুই বছরের জন্য, প্রবীণ নাগরিকের জন্য ৭.৫০%, সাধারণ নাগরিকের জন্য ৭%, তিন বছর থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সের জন্য ৭%, সাধারণ নাগরিকের জন্য ৭%।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ১২ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে স্থায়ী আমানতের সুদের হারে কিছু পরিবর্তন করেছে।
HDFC ব্যাঙ্ক সাধারণ নাগরিকদের তুলনায় প্রবীণ নাগরিকদের স্থায়ী আমানতে 0.৫% হারে বেশি সুদ দিচ্ছে। ১ বছর ১৫ মাসের কম মেয়াদের জন্য ৭.৬০ % হারে সুদ দিচ্ছে। তবে ২ বছর এক মাসে মাত্র ৭.৫০% সুদ এবং ৩ বছর এক দিনের মেয়াদে ৭.৫০% সুদ দিচ্ছে।