অন্তর্বতী বাজেটে অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন আয়করের ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হবে। এমনটাই আশা করেছিল মধ্য়বিত্ত। তবে আয়কর কাঠামো বা ট্য়াক্স স্ল্যাবে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তিনি জানান, ট্যাক্স স্ল্যাবে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। আয়করদাতারা যে হারে কর দিতেন, সেই হারেই কর দেবেন।
তিনি জানান, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ট্যাক্স চার্জ করা হয় না। আয়কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। রিফান্ডও দ্রুত জারি করা হয়। জিএসটি সংগ্রহ দ্বিগুণ হয়েছে। জিএসটি-র সঙ্গে পরোক্ষ কর ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে বেড়েছিল আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা। নির্মলা জানান, আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত যে কর কাঠামো বহাল রয়েছে, পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত তার সময়সীমা বাড়ানো হল। তাঁর ঘোষণা, ‘ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।’ যদিও এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে বেড়েছিল আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানান, রাজস্ব ঘাটতি অনুমান করা হয়েছে ৫.১ শতাংশ। ব্যয় ৪৪.৯০ কোটি টাকা এবং আনুমানিক রাজস্ব আদায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। ১০ বছরে আয়কর আদায় বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এই সরকার করের হার কমিয়েছি।
প্রসঙ্গত, খুচরো বিক্রেতাদের আয়করের উর্ধ্বসীমা ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩ কোটি হয়েছে বলে জানান নির্মলা। কর্পোরেট কর ৩০ শতাংশ থেকে কমে ২২ শতাংশ করা হয়েছে।
গত ১০ বছরে মোদী সরকার কী কী কাজ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন নির্মলা। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। সরকার 'সবকা সাথ সবকা বিকাশের' মন্ত্র নিয়ে এগিয়েছে। নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং কর্মসংস্থান ফ্রন্টে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন, আবাসন, জল, রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে সবার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ দ্রুত হয়েছে। আমরা ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দিয়েছি। গত এক দশকে গ্রামীণ পর্যায়ে আয়ের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।'
নির্মলা সীতারামন জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে দরিদ্র, মহিলা, কৃষকদের। কৃষক ও মহিলারাদের উন্নতি এই সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য।