scorecardresearch
 

Hisla Pice : বড় খবর, কলকাতায় ৫০০ টাকারও কম দামে মিলছে ইলিশ

জামাইষষ্ঠীর আগে বড় খবর। কলকাতায় মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে মিলছে ইলিশ। ফলে বর্ষা প্রবেশের আগেই বাঙালির রসনাতৃপ্তি হতে চলেছে।

Advertisement
Hilsa Hilsa
হাইলাইটস
  •  জামাইষষ্ঠীর আগে বড় খবর।
  • কলকাতায় ৫০০ টাকারও কম দামে মিলছে ইলিশ


 জামাইষষ্ঠীর আগে বড় খবর। কলকাতায় মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে মিলছে ইলিশ। ফলে বর্ষা প্রবেশের আগেই বাঙালির রসনাতৃপ্তি হতে চলেছে। এমনিতেই বর্ষা এবার আগাম প্রবেশ করছে। বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে ৩৫ মণ ইলিশ। আর এই বিপুল সংখ্যক ইলিশ ধরা পড়েছে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের জালে। তার মধ্যেই রাজ্যে সস্তা হয়ে গেল ইলিশ মাছ। 

কলকাতা ও শহরতলিতে ফের যেন শুরু হয়েছে সস্তার ইলিশের মরশুম। কলকাতার মানিকতলা মাছের বাজার, গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, বালিগঞ্জ, ভবানীপুরের মতো বড়স বাজারগুলোতে সস্তায় মিলছে ইলিশ। মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে মিলছে ইলিশ। সেই মাছগুলির ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। অর্থাৎ আপনি যদি ৫০০ গ্রামের মাছ কেনে তাহলে দাম পড়বে মাত্র ২৫০ টাকা ৩০০ টাকা। 

মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, সামনেই জামাইষষ্ঠী। সেই সময় ইলিশের দাম ছাড়াতে পারে ১৭০০ থেকে হাজার টাকা। তবে এখন মাছের দাম কমেছে। মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মিলছে। এখন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ মিললেও কয়েকদিনেই বড় ইলিশ বাজারে চলে আসবে। তাই তখন দাম অনেক বাড়তে পারে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ইলিশের দাম কমার অন্যতম কারণ হল, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়া ইলিশ। বাংলাদেশের নোয়াখালির দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে এই ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। সেই মাছ বাংলাতেও আসতে পারে। সেই সম্ভাবনায় যে ইলিশ মাছ ছিল স্টকে, সেগুলোকে ছাড়ছে ব্যবসায়ীরা। 

আরও পড়ুন

সেই গত সেপ্টেম্বর মাসে শেষ বার পাতে ইলিশ পেয়েছিল বাঙালিরা। তবে তখনও চড়া দা ছিল। এখন ফের নতুন করে ইলিশ চলে এল বাজারে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, কিছুদিন পর থেকে ইলিশ আরও বেশি পরিমণে পাওয়া যাবে। তখন বড় ইলিশও মিলতে পারে বাজারে। তবে জামাইষষ্ঠী যখন আসবে তার কযেকদিন আগে থেকেই  ইলিশের দাম ব্যপক বাড়তে চলেছে। 

Advertisement

তবে শুধু ইলিশ মাছই নয়। দাম কমেছে চিংড়িরও। বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। রুই, কাতলা ঘোরাফোরা করছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকাক মধ্যে। জামাইষ্ঠীর আগে এই সব মাছের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। একজন মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, বামংলাদেশের ইলিশের চাহিদা খুব। সেদেশে মাছও উঠেছে অনেক। তে এখনইতা রাজ্যে আসবে কি না তার ঠিক নেই। তবে যদি আসে তাহলে দাম আরও কমবে। 

 শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের সাইফুল ইসলাম মৎস্য আড়তে মাছগুলো বিক্রি করা হয়। বোট মালিক ইউসুফ মাঝি বলেন, মেঘনা নদীতে ইলিশ কম। তাই গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম মাছ ধরতে। ভালো মাছও পেয়েছি। সেখান থেকে আসতে আমাদের ১০-১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। মাছগুলো আকারে বড় হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি। 

 

Advertisement