Govt on Relief for Middle Class: দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করছে, যার কারণে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই মূল্যস্ফীতির যুগে সরকারের কাছে স্বস্তি প্রত্যাশা করছে সাধারণ মানুষ। এদিকে, মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ইউজারের করা পোস্টে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন যে এই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং জনগণের উদ্বেগের দিকে মনোযোগ দেয়। আসলে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এর একজন ইউজার অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছিলেন যে সরকার মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিক।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ (আগের ট্যুইটার), তুষার শর্মা নামে একজন ইউজার অর্থমন্ত্রীকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লেখেন, "আমরা আপনার প্রচেষ্টা এবং দেশের জন্য অবদানের প্রশংসা করি। আমি বিনীতভাবে আপনাকে মধ্যবিত্তকে কিছুটা ত্রাণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। আমি এই চ্যালেঞ্জগুলি বুঝতে পারি, কিন্তু এটা শুধু একটি আন্তরিক অনুরোধ।"
জবাব দেন অর্থমন্ত্রী
এর জবাবে অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, "আপনার কথা এবং বোঝার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনার উদ্বেগ বুঝতে পারি। নরেন্দ্র মোদীর সরকার জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার। এই সরকার জনগণের কণ্ঠস্বর শোনে। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। বোঝার জন্য। আপনার ইনপুট আমাদের জন্য মূল্যবান।"
Thank you for your kind words and your understanding. I recognise and appreciate your concern.
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) November 17, 2024
PM @narendramodi ‘s government is a responsive government. Listens and attends to people’s voices. Thanks once again for your understanding. Your input is valuable. https://t.co/0C2wzaQtYx
অর্থমন্ত্রীর এই জবাব দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক ইউজার অর্থমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এবং আশা করেছেন যে সরকার মধ্যবিত্তের সমস্যাগুলি বুঝতে এই দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। অর্থমন্ত্রীর জবাবের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় নানা প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ আশা প্রকাশ করেছেন যে সরকার শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে নতুন পদক্ষেপ নেবে। একই সঙ্গে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, শুধু প্রতিক্রিয়া দিলেই কি পরিস্থিতির উন্নতি হবে? অথবা এর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে।
দেশে মূল্যস্ফীতি চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে চার মাসের সর্বোচ্চ ২.৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে শাকসবজি ও উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে পাইকারি মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি ছিল১.৮৪ শতাংশের স্তরে। অক্টোবর, ২০২৩ এ তা ছিল মাইনাস ০.২৬ শতাংশ।