দুই বাংলার ইতিহাসে ১৬ অক্টোবর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ভাগ হয়ে যায় দুই বাংলা। এই বিভাজন করেছিলেন ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড কার্জন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাকে দু'ভাগে বিভক্ত করেন। সে সময় কার্জনের এই সিদ্ধান্তের অনেক বিরোধিতা হয়েছিল। একে বলা হত ব্রিটিশদের বিভাজন-শাসন নীতি। যে সময়ে হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ।
তখন বর্তমান বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশা বঙ্গ প্রদেশের মধ্যে ছিল। ১৯০৫ সালের ২০ জুলাই ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় কার্জন বাংলা ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, এই বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে।
“বিভক্ত ও শাসন নীতি” এটি ছিল ব্রিটিশ নীতির একটি অংশ। এর প্রতিবাদে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে সারা দেশে শুরু হয় ‘বঙ্গভঙ্গ’ আন্দোলন। এই বিভক্তির কারণে উচ্চ স্তরের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে, উভয় পক্ষের ভারতীয় জনসাধারণের চাপে ১৯১১ সালে বাংলার পূর্ব ও পশ্চিম অংশ পুনরায় একত্রিত হয়।
এই বিভাজনে ধর্মের নিরিখে পৃথক করেছিল। তবে মাত্র ছয় বছর পর আবার আগের মতোই মিলিত হয়। ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ দ্বারা বাংলা পুনঃএকত্রিত হয়েছিল।
এর অনেক পরে ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গ ভারত বিভাজনের একটি অংশ হিসেবে ধর্মের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত বঙ্গ প্রদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিভক্ত হয়। প্রধানত হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ ভারত এবং মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়।