NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিট নিয়ে গরমিলের অভিযোগে দায়ের হয়েছে একাধিক আবেদন। তাতে যেমন কাউন্সেলিং বন্ধ করার দাবি করা হয়েছিল, তেমনই অবিলম্ব সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদনে সাড়া দিল না। তাই আপাতত কাউন্সেলিং বন্ধ হচ্ছে না। সেই সঙ্গে এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখছে না দেশের শীর্ষ আদালত।
সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার অবকাশকালীন বেঞ্চের মত, সব পক্ষের কথা না শুনে অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যাবে না।
NEET সংক্রান্ত চারটি মামলার প্রেক্ষিতে NTA-কে নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই নোটিশের জবাব ২ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুলাই।
বুধবার শুনানির জন্য চারটি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি আবেদনে NEET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিজের ইচ্ছামতো পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের মতো অভিযোগও করা হয়েছে। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, NEET পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গুজরাতের গোধরাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র বেছে নিয়েছেন বহু ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা NEET পাশ করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ঘুষ দিয়েছিলেন। গোধরার জয় জলরাম স্কুলকে কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা।
বলে রাখি, সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এ একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তারপরই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার এনটিএ-র কাছে জবাব তলব করে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিটে একাধিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস, কোথাও আবার টাকা দিয়ে পরীক্ষায় পাশ করানোর মতো অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে,'যদি ০.০০১ শতাংশ গাফিলতিও কারও হয়ে থাকে, তবে তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানায়, ১৫৬৩ জন নিট পরীক্ষার্থীকে যে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে তা বাতিল করা হবে। তাঁরা নতুন করে পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। যাঁরা নতুন করে পরীক্ষা দিতে চান তাঁরা আগামী ২৩ জুন এই পরীক্ষা দিতে হবে পারেন। ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ৩০ জুন। ৬ জুলাই থেকে শুরু হবে মেডিক্যাল পাঠক্রমে ভর্তির কাউন্সেলিং।