কোভিড বাড়বাড়ন্তের জেরে এবছর হয়নি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই বিশেষ পদ্ধতিতেই হয়েছে মূল্যায়ন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রকাশ করা ফলাফলে দেখা গেল এবার উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। ছাত্র এবং ছাত্রীদের পাশের হার প্রায় সমান। প্রথম দশে রয়েছেন ৮৬ জন পরীক্ষার্থী। কোভিড আবহে এবার যেমন ফল প্রকাশ এক বিশেষ ঘটনা, তেমনি উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাসে নজির গড়লেন এক মুসলিম কন্যাও। মুর্শিদাবাদের ওই কিশোরী ৫০০ মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে এবার প্রথম হয়েছেন উচ্চমাধ্যমিকে। তবে মেধাতালিকা প্রকাশ না করায় তার নাম সামনে আনেননি সংসদ সভাপতি।
সংসদের সাংবাদিক বৈঠকে জানান হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে এবার মোট পরীক্ষার্থী ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। তাদের মধ্যে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭জন পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৯০১৩ জন। এ গ্রেড পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৫৮ জন পরীক্ষার্থী।
এদিন বিকেল ৪টে থেকে ওয়েবসাইট, এসএমএস অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজাল্ট দেখতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। পরেরদিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই সকাল ১১টার পর থেকে মিলবে মার্কশিট। কাল থেকে সংসদের ৫২টি কেন্দ্রে মিলবে মার্কশিট। এদিকে আগামী বছরের জন্য একাদশের উত্তরপত্র সংরক্ষণ করতে হবে, জানাল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিকের দিন ঘোষণা করা হয়নি।
করোনা আবহে মাধ্যমিকের মতো এবছর বাতিল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ ফর্মুলায় হয়েছে মূল্যায়ন।
কীভাবে মূল্যায়ন?
করোনা আবহে মাধ্যমিকের মতো এবছর বাতিল হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। ৭ জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়। বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ ফর্মুলায় হয়েছে মূল্যায়ন। উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি হবে মাধ্যমিক, একাদশের বার্ষিক এবং দ্বাদশের প্রাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টের নম্বরের ভিত্তিতে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের মাধ্যমিকের সর্বাধিক প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে চারটি বিষয় থেকে ৪০ শতাংশ, ২০২০ সালের একাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ শতাংশ ও দ্বাদশের প্রজেক্ট (২০ নম্বর) ও প্র্যাক্টিকাল (৩০ নম্বর)-এর গড় হিসাব করে দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্ট তৈরি হবে। তবে এই পদ্ধতিতে এই পদ্ধতিতে মূল্যায়নে কেউ সন্তুষ্ট না হলে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পর পরীক্ষায় বসতে পারবেন পড়ুয়ারা। তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকেই উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত বলেই ধরা হবে।
এদিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, অনেক স্কুল থেকেই সঠিক সময়ে একাদশ এবং দ্বাদশের নম্বর পাঠানো হয়নি। অনেক স্কুলের পাঠানো ফলাফল ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সেগুলি সংশোধন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও স্কুলের ফলাফল আটকে দেওয়া হয়নি।
মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের ভর্তি প্রক্রিয়া
মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল। উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিল উচ্চমাধমিক শিক্ষা সংসদ। ন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, ২ অগাস্ট থেকে ১৪ অগাস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে নিজের স্কুলের পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়া। ১৬ অগাস্ট থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ভর্তি চলবে অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের।