সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষাগুলিতে যাতে পড়ুয়ারা অংশ নিতে পারেন সেই জন্য প্রস্তুতি হিসেবে একাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। সেগুলির ফি এত বেশি যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা সেখানে যেতে পারেন না। সুযোগ পান না পড়ার। তাঁদের কথা চিন্তা করেই ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে 'যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প হল রাজ্যের একাধিক জনহিতকর কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি।
সবার জন্য যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা
ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সুবিধা দেওয়ার জন্য যোগ্য়শ্রী প্রকল্পে। মূলত, অনগ্রসর তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিঃখরচায় জয়েন্ট এন্ট্রাস (JEE), নিট (NEET) পরীক্ষার প্রবেশিকা ও মূল পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এই প্রকল্পে। ব্য়াঙ্ক, রেল, পোস্ট অফিস, সামরিক, আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্যেও প্রস্তুতি দেওয়া হয় এই প্রকল্পে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং জেনারেল ক্যাটেগরি ছাত্রছাত্রীকেও এবার এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। অর্থাৎ, রাজ্যে যে কোনও শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা এই পরিকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য।
রাজ্য জুড়ে ৫০টি কেন্দ্র
বর্তমানে রাজ্য জুড়ে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের জন্য মোট ৫০টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে দুই হাজারেরও বেশি SC/ST পড়ুয়া ট্রেনিং পাচ্ছেন। এবার একাদশ শ্রেণি থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এতে পড়ুয়ারা ভাল করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সুবিধাপ্রাপকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আবার সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য রাজ্যজুড়ে ৪৬টি সেন্টার থাকবে।
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা কী কী?
মেধার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে মোট ২০০০ জন পড়ুয়াকে ২০২৫ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং দেওয়া হবে। কোচিং চলাকালীন, তাঁদের ৩০০ টাকা করে প্রতি মাসে স্টাইপেন্ডও দেওয়া হবে।
আবেদন করার যোগ্যতা
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের জন্য কারা পারবেন আবেদন করতে? উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার সবেমাত্র সকলের জন্য এই প্রকল্পের দরজা খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। তবে, আবেদনকারীকে অবশ্যই মাধ্যমিকে কমপক্ষে ৫০% থেকে ৬০% নম্বর পেতে হবে। এতদিন অবশ্য শুধুমাত্র তপশিলি জাতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বরাদ্দ এই নিয়ম ছিল। এখন SC/ST র পাশাপাশি জেনারেল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হলেও যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যোগ্য কিনা তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেই জেনে নেওয়া যাবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
যোগ্যশ্রীতে সুবিধা পেতে কীভাবে করবেন আবেদন?
যোগ্যশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে কী কী নথি দরকার?
যোগ্যশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে প্রয়োজন-
কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে
এই প্রকল্পের মাধ্যমে এ বছর থেকেই রাজ্যজুড়ে তপশিলি জাতি ও আদিবাসী প্রবাদের এ প্রকল্পের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন রকম (Yogashree Prakalpa 2024) প্রবেশিকা পরীক্ষা যেমন ব্যাঙ্ক, রেল, পোস্ট অফিস, পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থায়ী যেমন গ্রুপ C,D পদের জন্য সুন্দর ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সমস্ত মেধা পড়বাদের জন্য ৩০০ ঘণ্টার এবং ছ’মাসের এই কোর্সের জন্য ৪ ঘণ্টা করে সপ্তাহে তিনদিন ক্লাসের ব্যবস্থা থাকবে।