সবে শেষ হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর পুজোর পরেই নাকি পশ্চিমবঙ্গে বিপুল পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি বেশ কিছু ফেসবুক পেজ থেকে বর্তমান পত্রিকার একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে ঠিক এমনই দাবি করা হচ্ছে।
এই খবরের স্ক্রিনশটে বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা রয়েছে, "পুজো মিটলেই ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ। রাজ্যের স্কুলে শূন্যপদ পূরণ ৬ বছর পর।" স্ক্রিনশটটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও পুজোর আগে এরকম একটা নিউজ না এলে যেন পুজো কাটে না।"
কোনও ক্যাপশনে আবার লেখা হয়েছে, "৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে।"
আজতক ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছে যে আলোচ্য খবরটি সাম্প্রতিক সময়কার নয়, বরং দু'বছর আগেকার। বর্তমানে তা বিভ্রান্তিকরভাবে শেয়ার করা হচ্ছে।
কীভাবে জানা গেল সত্যি
যদি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর পর ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কোনও ঘোষণা করা হতো, তবে ইদানীং সেই বিষয়ে নানা সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ পাবে তা অনুমেয়। কিন্তু এমন কোনও সাম্প্রতিক খবর আমরা খুঁজে পাইনি।
তবে ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খবর দেখা যায়। যেখানে লেখা হয়, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন যে, পুজো মিটলেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে যে দীর্ঘদিন যাবত শূন্যপদ পড়ে রয়েছে, তা পূরণ করতে প্রায় ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য় সরকার।
এর থেকে আন্দাজ করা যেতে পারে যে পুজোর পর ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের এই ঘোষণাটি অন্তত দু'বছর আগেকার হতে পারে। যেহেতু খবরটি বর্তমানের ছিল, তাই বর্তমান এমন কোনও খবর করেছিল কি না সেই বিষয়ে সার্চ করলে দেখা যায়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বর্তমানে এই খবর ছাপা হয়েছিল।
বর্তমান পত্রিকার ফেসবুক পেজ থেকেও এই খবরটি ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়েছিল।
অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, সঠিক প্রেক্ষাপটে খবরের স্ক্রিনশটটি শেয়ার না হওয়ায় তা বিভ্রান্তির কারণ হচ্ছে।
চলতি বছর দুর্গাপুজো মিটলেই রাজ্য সরকার ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে।
এই খবরটি ২০২২ সালের। সেই সময় বিধানসভায় এই ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।