নিজের ৭২তম জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিমানের ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে যার সামনে একটি বাঘের ছবি আঁকা দেখা যাচ্ছে। ছবিটি শেয়ার করে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছেন, নামিবিয়া থেকে চিতাগুলিকে আনতে নাকি এই বিমান ব্যবহার করেছিল ভারত সরকার।
উদাহরণস্বরূপ, এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এই বিমানের ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন যে, এই বিমানে করেই আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে নিয়ে আসা হয়েছে। একই দাবি বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকেও করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর। বাঘের ছবি আঁকা এই বিমানের ছবিটি প্রায় সাত বছর পুরনো এবং ভারতে চিতা আনার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়নি।
আফয়া অনুসন্ধান
বিমানের ভাইরাল ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে খোঁজার পর আমরা ওই একই ছবি সাইবেরিয়ান টাইমস নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে খুঁজে পাই। ২০১৫ সালের ২৩ জুন প্রকাশিত এই খবরে লেখা হয় যে রাশিয়ান বিমান সংস্থা ট্রান্সএরো নিজেদের বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের বিমানগুলির মধ্যে একটিতে সাইবেরিয়ান বাঘের মুখের এই ছবি দিয়ে ডিজাইন করেছিল।
এমন উদ্যোগের কারণ হিসেবে সাইবেরিয়ান বাঘের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে সংরক্ষণ করার বার্তা দেওয়ার কথা ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল।
আরও কিছু কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আমরা ডিডি ন্যাশনালের একটি ভিডিও খুঁজে পাই। সেখানে অপর একটি বোয়িং বিমান দেখা গিয়েছে যা নামিবিয়া থেকে মধ্য় প্রদেশের কুনো-তে নিয়ে আসে। সেই বিমানেও অবশ্য একই ধরনের বাঘের মুখের ছবি আঁকা ছিল।
তবে একটি বিষয় বলাই যায় যে ছবিটি সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কিত নয়।
এই বিমানে করে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।
ভাইরাল ছবিটি অন্তত ৭ বছর আগেকার যখন রাশিয়ার একটি বিমান সংস্থা নিজেদের বিমানে সারবিয়ান বাঘের মুখটি এঁকেছিল।