scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: মহম্মদ ইউনূস 'ভারতের গদ্দারি' নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি, ভাইরাল পোস্টটি ভুয়ো

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ফটোকার্ডটি ভুয়ো। অন্য একটি কার্ডের উপর কারসাজি করে এটি তৈরি করা হয়েছে। ইউনূস এমন কোনও মন্তব্য করেননি। 

Advertisement

বাংলাদেশের শাসকের আসন থেকে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ড. মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আগামী দিনে ভারতের সমীকরণ কেমন হবে, সে দিকেই নজর রয়েছে সকলের। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফটোকার্ড ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ড. ইউনূসের ছবি দেখা যাচ্ছে। 

এই কার্ডে ড. ইউনূসকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে যে তিনি বলেছেন ভারতের গদ্দারির  সময় ফুরিয়ে এসেছে। ফটোকার্ডে লেখা উক্তিটি হলো- "ভারতের গাদ্দারির দিন শেষ। বাংলাদেশের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নিবে। : ইউনূস" (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)

আলোচ্য পোস্টের সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "ঠিক এইটাই চেয়েছিলাম।"

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ফটোকার্ডটি ভুয়ো। অন্য একটি কার্ডের উপর কারসাজি করে এটি তৈরি করা হয়েছে। ইউনূস এমন কোনও মন্তব্য করেননি। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ড. ইউনূস যদি বাস্তবেই ভারত সম্পর্কে এ হেন কোনও মন্তব্য করে থাকতেন, তবে সেই নিয়ে বাংলাদেশের কোনও না কোনও সংবাদ মাধ্যমে অবশ্যই খবর প্রকাশ হতো। কিন্তু এমন কোথাও এই ধরনের কোনও খবর আমাদের নজরে আসেনি। বরং এই বিষয়ে সার্চ করে আমরা ড. ইউনূসের ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও দেখতে পাই যা বাংলাদেশের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল। 

এই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসকে বলতে শোনা যায় যে প্রতিবেশী দেশ হওয়ার সুবাদে ভারত ও বাংলাদেশের উভয়ের উভয়কে প্রয়োজন এবং ভালো সম্পর্ক রাখা ছাড়া কোনও দেশেরই অন্য কোনও পন্থা নেই। 

এরপর ভাইরাল ফটোকার্ডটিকে গুগল লেন্সের সাহায্যে খোঁজা হলে একই ধরনের আরেকটি পোস্টের সন্ধান মেলে। সেই ফটোকার্ডেও একই উক্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, তবে এই কার্ডের উপরে বাঁ-দিকে নয়া শতাব্দী নামের একটি সংবাদ মাধ্যমের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সেখানে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখটি লেখা ছিল। অর্থাৎ, ধরে নেওয়া যেতে পারে যে যদি এই ধরনের কোনও ফটোকার্ড নয়া শতাব্দীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা ওইদিনেই হবে।

Advertisement

কিন্তু ৭ সেপ্টেম্বর এমন খবর-সহ কোনও পোস্টকার্ড নয়া শতাব্দীর ফেসবুক পেজে দেখা যায়নি। পক্ষান্তরে, একই ছবির কোলাজ ব্যবহার করে অন্য একটি খবর প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে লেখা ছিল, "পিটিআইকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত।" 

এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, নয়া শতাব্দী নামের এই সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রত্যেক ফটোকার্ডের ফন্টে লাল ও কালো রঙের অক্ষর ব্যবহার করে। আসল পোস্টের অক্ষরগুলি বেশ চওড়া হয়। কিন্তু ভাইরাল পোস্টে যে ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, তা একেবারেই অন্যরকম। দুটি ফটোকার্ডের তুলনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে আসল ফটোকার্ডটির উপর কারসাজি করে ভাইরালটি তৈরি করা হয়েছে। 

সুতরাং, বুঝতে বাকি থাকে না যে ড. ইউনূসকে উদ্ধৃত করে যে ফটোকার্ড ভাইরাল হয়েছে তা আসলে ভুয়ো এবং কারসাজি দ্বারা তৈরি। 

 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media Users

দাবি

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বলেছেন যে ভারতের গদ্দারির দিন শেষ। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত এ বার বাংলাদেশই নেবে। 

ফলাফল

ড. মহম্মদ ইউনূস এমন কোনও মন্তব্য করেননি। এই ফটোকার্ডটি ভুয়ো এবং উক্তিটিও মনগড়া। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement