scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: ধর্ষণে অভিযুক্ত উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি-সহ ফটোকার্ড ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই কার্ডে দুটি বিষয় বিভ্রান্তিকর। প্রথমত, ফটোকার্ডে থাকা ছবিটি উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা কমল রাওয়াতের নয়। দ্বিতীয়ত, পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবের দাবিটিও সত্যি নয়।

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: ধর্ষণে অভিযুক্ত উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি-সহ ফটোকার্ড ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যাক্ট চেক: ধর্ষণে অভিযুক্ত উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি-সহ ফটোকার্ড ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

উত্তরাখণ্ডের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সম্প্রতি উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ বার ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড বেশ শেয়ার করা হচ্ছে।

সেই ফটোকার্ডে পুলিশের সঙ্গে এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সেখানে কার্ডে লেখা হয়েছে, "খুনের ভয় দেখিয়ে দেদার ধর্ষণ উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার। একটি ১৫ বছরের নাবালিকাকে দেদার ধর্ষণ করে গেছেন উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা কমল রাওয়াত। "কাউকে জানালেই খুন", এই ভাবে ভয় দেখিয়ে গেছেন দীর্ঘদিন। শেষে সহ্য করতে না পেরে নিজের মা'কে সব কথা খুলে বলেন নির্যাতিতা। মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকেই বেপাত্তা বিজেপি নেতা কমল। "ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। শীঘ্রই নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে এবং এরপর আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।" গা ছাড়া মনোভাব পুলিশ সুপার (এসপি) দেবেন্দ্র পিনচর। এই সব নেতাকেও টিকিট দেয় বিজেপি, বুঝুন!!"

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই কার্ডে দুটি বিষয় বিভ্রান্তিকর। প্রথমত, ফটোকার্ডে থাকা ছবিটি উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা কমল রাওয়াতের নয়। দ্বিতীয়ত, পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবের দাবিটিও সত্যি নয়।

কীভাবে জানা গেল সত্যি

সবার প্রথম ফটোকার্ডটি থাকা ছবিটিকে আমরা রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে খোঁজার চেষ্টা করি। তখন ওই ছবিটি আমরা দেখতে পাই হিন্দুস্তান লাইভের একটি খবরে। ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে লেখা হয় যে পুলিশের হেফাজতে থাকা এই ব্য়ক্তি হলেন উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রের দুদ্ধির বিজেপি বিধায়ক রামদুলার গোন্ড।

সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় তিনি হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন এবং এরপর আদালত তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে নেয়। সেই সঙ্গে ২৫ বছরের কারাবাস ও ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়াও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে, জাগরণের মতো নানা সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি দিয়ে একই খবর প্রকাশ হয়। এর থেকেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায় যে এই ছবির সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি বিধায়ক কমল রাওয়াতের কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement

এরপর আমরা কমল রাওয়াতের বিষয়ে আরও অনুসন্ধান শুরু করি। সবার প্রথম ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর অমর উজালায় প্রকাশিত একটি খবরে লেখা হয়, এই কমল রাওয়াত হলেন উত্তরাখণ্ডের চম্পাবতের যুব নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকার বিরুদ্ধে দুষ্কর্ম করার অভিযোগ ২৯ ডিসেম্বর থানায় দায়ের হয়।

এরপর ১ জানুয়ারি প্রকাশিত ললনটপের একটি খবর আমরা খুঁজে পাই। পাশাপাশি একই বিষয়ে অমর উজালার আরেকটি খবর দেখা যায়।সেখানে লেখা হয়, ৩১ ডিসেম্বরই অভিযুক্ত কমল রাওয়াতকে গ্রেফতাক করে তার বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামালা রুজু করেছে পুলিশ।

অর্থাৎ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার যে দাবিটি এই রিপোর্টে তোলা হয়েছে, সেটাও এক্ষেত্রে সত্যি নয়।

ফ্যাক্ট চেক

facebook pages

দাবি

ছবিতে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা কমল রাওয়াতকে দেখা যাচ্ছে যিনি এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে তদন্তে গড়িমসি করছে।

ফলাফল

ছবিতে থাকা ব্যক্তি কমল রাওয়াত নন বরং উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রের বরখাস্ত বিজেপি বিধায়ক রামদুলার গোন্ড যিনি নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হন। অন্যদিকে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরদিনই কমল রাওয়াতকে পুলিশ গ্রেফতার করে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
facebook pages
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement