কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হলো একটি পোস্ট যেখানে দাবি করা হয়েছে, কর্নাটকের উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, হিজাব পরে শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারবে মুসলিম মেয়েরা।
বেশ কিছ ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্যাপশনে লিখেছেন, " ব্রেকিং নিউজ। কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ঃ হিজাব পরে শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারবে মুসলিম মেয়েরা। বোন মুসকানের জন্য শুভকামনা। আর এটিই 'আল্লাহু আকবার' এর শক্তি।"
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে যে ভাইরাল দাবিটি ভিত্তিহীন। কর্ণাটক হাইকোর্ট হিজাব বিতর্ক নিয়ে এখনও কোনো অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেয় নি। এ বিষয় শুনানি হবে আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারী।
আমরা কী ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বেশ কিছু মুখ্য ধারার খবরের পোর্টালে কর্ণাটক হাইকোর্টে হিজাব নিয়ে শুনানির বিষয়ে প্রতিবেদন খুঁজে পাই।
১০ ই ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত এই সব খবরের মোতাবেক , কর্ণাটকের উচ্চ আদালত এখনো হিজাব বিতর্কে কোনো রায় দেয় নি।
বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হয় জাস্টিস ঋতুরাজ অবস্থি, জাস্টিস কৃষ্ণা দিক্ষীত, ও জাস্টিস জেএম খাজির বেঞ্চে। যতদিন এই গোটা বিষয়টি আইন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, ততদিনের জন্য ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে পড়ুয়াদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এই ইস্যুতে আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৪ ই ফেব্রুয়ারী দুপুর ২:৩০ মিনিটে মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
কয়েক সপ্তাহ আগে কর্ণাটকের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা তাদের ইউনিফর্ম নীতিবিরুদ্ধ বলে ক্লাসের ভেতর হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে বিতর্ক শুরু হয়। পরবর্তীকালে এই হিজাব বিতর্ক আরও বড়ো আকার ধারণ করে।
কর্নাটকের উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, হিজাব পরে শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারবে মুসলিম মেয়েরা।
কর্ণাটক হাইকোর্ট হিজাব বিতর্ক নিয়ে এখনও কোনো অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেয় নি। এ বিষয় শুনানি হবে আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারী।