দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে কার্যত পঞ্চমী থেকেই। কলকাতার রাস্তায় ভিড় দেখেই মালুম হচ্ছে। পুজোয় কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসেন।
কিন্তু চিন্তার হল, ফিরবেন কীভাবে। বিভিন্ন জেলা থেকে যাঁরা কলকাতায় ঠাকুর দেখতে আসেন, তাঁদের যাতায়াতের অন্যতম পরিবহণ হল ট্রেন। হাওড়া ও শিয়ালদায় লোকাল ট্রেনে বহু মানুষ ঠাকুর দেখতে আসেন ও বাড়ি ফেরেন।
পুজোয় রাতে ঠাকুর দেখে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদা ও হাওড়ায় রাতে একাধিক পুজো স্পেশাল লোকাল ট্রেন দিয়েছে রেল। ওই লোকাল ট্রেনগুলি চলবে গভীর রাতেও। দেখে নেওয়া যাক টাইম টেবিল।
পূর্ব রেল জানিয়েছে, হাওড়া থেকে ১০টি ট্রেন বধর্মান মেন, কর্ড, ব্যান্ডেল ও শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের মধ্যে সারারাত চলবে। শিয়ালদহ ডিভিশনে রানাঘাট, কল্যাণী, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, ডানকুনি, বারুইপুর ও বজবজ লোকাল চলবে গভীর রাতে।
রাতে হাওড়া থেকে বর্ধমান লোকাল মেন লাইনে ছাড়বে রাত পৌনে ১২টায়। বর্ধমান থেকে হাওড়ায় আসার ট্রেন বর্ধমান থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।
হাওড়া থেকে কর্ড লাইনে বর্ধমান লোকাল ছাড়বে রাত ১টা ১৫ মিনিটে। কর্ডলাইনে বর্ধমান থেকে হাওড়া আসার ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টায়।
হাওড়া থেকে গভীর রাতে ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়বে রাত ১টায়। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়াগামী লোকাল ছাড়বে রাত সাড়ে ১১টায়। শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১২.২৫ মিনিটে।
তারকেশ্বর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১টা ১৫এ। হাওড়া থেকে আরও একটি ট্রেন রাত ১.৫০ মিনিটে মেন লাইন দিয়ে বর্ধমান যাবে।
শিয়ালদায় রানাঘাট যাওয়ার শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে। রানাঘাট থেকে শিয়ালদা লোকাল মিলবে রাত ১১টা ৪৫ ও রাত আড়াইটেয়।
শিয়ালদা থেকে কল্যাণী লোকাল ছাড়বে রাত দেড়টায়। কল্যাণী থেকে শিয়ালদা আসতে হলে রাতে ২টো ৫০ মিনিটে লোকাল মিলবে।
রানাঘাট থেকে ১১টা ৪৫-এ ছাড়বে কৃষ্ণনগর লোকাল। কৃষ্ণনগর থেকে ১২ টা ১৭-এ আসবে রানাঘাট লোকালটি। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁর ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১.২০ মিনিটে ও বনগাঁ থেকে ছাড়বে রাত ১১.৫৫ মিনিটে।