এল নিনোর প্রভাবে ২০২৩ সালে ব্যাপক গরম পড়েছিল। কিন্তু, ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে সেরকম গরম থাকবে না। আবহাওয়াবিদদের মতে, ২০২৪ সালে প্রচুর বর্ষার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের একাধিক জলবায়ু সংস্থার মতে, এল নিনো ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে অগাস্টের মধ্যে লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে জুন-আগস্টের মধ্যে লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হলে গত বছরের তুলনায় বৃষ্টি বেশি হবে। আবহাওয়াবিদদের মতে, একাধিক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে।
ভারতে বর্ষা হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুয় প্রভাবে। এর জেরেই ভারতে প্রায় ৭০ শতাংশ বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয়। যা কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই বৃষ্টির ফলে ভারতের যা ফসল হয় তা জিডিপিতে প্রায় ১৪ শতাংশ অবদান রাখে। ভারতের মানুষ যার দ্বারা উপকৃত হয়।
ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (CCS) নিশ্চিত করেছে, এল নিনো ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। NOAA আরও জানিয়েছে, এল নিনো-র এখন যা অবস্থা তাতে চলতি বছরের বর্ষা গত বছরের চেয়ে ভালো হবে।
ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD)-র সিনিয়র এক বিজ্ঞানি জানান, 'বর্তমানে আমরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারি না। কিছু মডেল লা নিনাকে নির্দেশ করে, আবার কিছু ENSO-নিরপেক্ষ অবস্থার ভবিষ্যদ্বাণী করে। তবে প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, সমস্ত মডেলই কার্যত এটাই ইঙ্গিত করছে যে বর্ষা এবার ভরপুর হবে।'
২০২৩ সালের বর্ষাকালে ভারতে গড় ৮২০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এল নিনো শক্তিশালী হওয়ায় গড় বর্ষণের তুলনায় কম হয়েছে। তবে এল নিনো যদি ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে চলতে থাকে তবে ২০২৪ সালে গরম আরও বাড়বে। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এল নিনো চলে যাওয়ার ফলে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে ভারতের একাধিক রাজ্যে। কোনও কোনও আবহাওয়াবিদের মতে, প্রচুর বর্ষণ হতে পারে।