তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তৃণমূল সূত্রে এই খবর জানা যাচ্ছে। সূত্রের আরও খবর যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অখিলেশকে শহিদ সমাবেশে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে রবিবারই কলকাতা আসবেন সপা সুপ্রিমো। টিএমসি-র একটি সূত্র জানিয়েছে, অখিলেশ যাদবকে মমতার আমন্ত্রণেই কলকাতা আসছেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হবে। একুশের মঞ্চে তিনি ভাষণও দেবেন। ইন্ডিয়া জোটকে আরও শক্তিশালী এই পরিকল্পনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং বড় বাজারের গেস্ট হাউসগুলিতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের থাকা ও খাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা এসে এসব জায়গায় থাকবেন। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে, বাসে চড়ে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। দুটি বড় জয়ের পর, এই সমাবেশ নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কাছে স্পেশাল। স্বভাবতই, এবার ২১ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলই। বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের জন্য বিভিন্ন খাবার রান্না করা হচ্ছে। শিবিরে থাকা তৃণমূল কর্মীদের জন্য স্পেশাল মেনু রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের একটা বৃহত্তম রাজনৈতিক কর্মসূচি। এই দিনটিতে যাতে ভালভাবে কর্মসূচি করা যায় তার জন্য বেশকিছু দিন ধরে চলে কর্মযজ্ঞ। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে নিচুতলার কর্মীরা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন এবং একইসঙ্গে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন এই দিনটি সফল করার জন্য। কর্মসূচির কয়েকদিন আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেন জেলার নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা। দলের তরফেও ব্যবস্থা করা হয় বিভিন্ন জায়গাতে তাঁদের থাকা খাওয়ার। এবং খাওয়ার হিসেবে মেনুতে থাকে ডিমের ঝোল আর গরম ভাত। এই কর্মসূচির অন্যতম জনপ্রিয় খাবারও এই ডিম-ভাত। কোনও পরিবর্তন না করে প্রতিবছর একই ভাবে এই মেনুই চলে আসছে। আর দলের কর্মী সমর্থকেরাও তৃপ্তি করে চেটেপুটে এই খাবারই খেয়ে চলেছে।
প্রতিবারের মতো এ বার একুশের কর্মসূচিতে আসছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর এ বারের একুশে স্বাভাবিক ভাবে উৎসাহ ছিল অনেক বেশি। তাই কর্মসূচির বেশ কয়েকদিন আগে থাকতেই কলকাতামুখি হয়েছে মানুষ। ২১ জুলাইয়ের আগে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে তৈরি হয়েছে হিমঘর। ডিমের হিমঘর। এক ধারে সেদ্ধ করা হচ্ছে রাশি রাশি ডিম। অন্যদিকে ভাজা হচ্ছে তা। তারপর ক্রেটে ক্রেটে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। শহিদ দিবসের জন্য জেলা থেকে আসতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অন্তত দু'বেলা ডিমভাত খাওয়ানো হবে।