নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ ১৩ জনকে আজ ফের আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। মিডলম্যান ও এজেন্টদেরও পেশ করা হচ্ছে আদালতে। এর আগের দিন আদালতে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থ। আজ বিস্ফোরক কথা বললেন কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় সংস্থা জোর করে তাঁকে দিয়ে নাম বলানোর চেষ্টা করছে বলে মারাত্মক অভিযোগ করেন কুন্তল।
এদিন আদালতে যাওয়ার পথে কুন্তল ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করে নাম বলানোর চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা হচ্ছে? তাতে কুন্তলের বক্তব্য, জোর করে দলের একাধিক নেতার নাম বলানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশের আগে অভিষেকের দাবিতেই যেন সিলমোহর দিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জোর করে চাপ দিয়ে নেতাদের নাম বলতে বাধ্য করছে বলেই বিস্ফোরক দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত বুধবার বিকেলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বেলন, দলের দুই নেতা মদন মিত্র এবং কুনাল ঘোষ যখন জেলে ছিলেন, তখন তাঁদের উপরে ‘চাপ’ সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে তাঁরা অভিষেকের নাম বলেন। তিনি বলেন, ‘‘মদনদা জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষও জেলে ছিলেন। এঁদের বলা হয়েছিল, আমার নাম নিলেই ছেড়ে দেবে।’’ পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন অভিষেক। তাঁর দাবি, দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলে এবার 'এক ডাকে অভিষেক' ফোন করার পরার্মশও দেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শহিদ মিনারের সভা থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যদি কাউকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়। ইডি, সিবিআই যদি কোনও প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করে, তাহলে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করবেন। আমি আপনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াব, কথা দিলাম।" এতদিন এই 'এক ডাকে অভিষেক' ব্যবহার হত ডায়মন্ড হারবারের মানুষদের জন্য ৷ সেখানকার অভাব অভিযোগ, তাঁদেরই সাংসদকে জানানোর জন্য।