আরজি কর-কাণ্ডের পর সিবিআই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সিবিআইয়ের সফলার হার কম। তবুও নির্যাতিতার পরিবার চাইলে সিবিআইয়ের হাতেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে। আজ, বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে একই কথা বললেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, 'সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে এক দশক ধরে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত চার্জশিট জমা হয়নি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই জেলে। তবুও যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে, তারা লাভবান হয়নি, বরং বিজেপি বাংলাকে কালিমালিপ্ত করেছে।'
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গে বলেন বলেন, "১৪ দিন ধরে সিবিআই তদন্ত করছে। সারদার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ১০ বছরেও সুরাহা হয়নি।" যেকারণএ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে "দেশে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি। যদি কেন্দ্রের সরকার এই আইন আনার ব্যবস্থা না করে, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনার উদ্যোগ নেব। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে এই আইন না হলে, আমরা দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। মানুষ যদি রাস্তায় নামে, তখন কেউই তাদের আটকাতে পারবে না।"
পাশাপাশি তিনি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, "কেন সন্দীপ ঘোষ এখনও গ্রেফতার হয়নি?" তার মতে, সিবিআইকে এর জবাবদিহি করতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, "এনসিআরবি অনুযায়ী, মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও অন্যায়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ও মহারাষ্ট্রে ঘটছে।"
এছাড়াও, তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার টাকা বিতরণ সম্পন্ন হবে এবং ২০২৪ সালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করা হবে। তিনি আরও বলেন, "সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন চাই, এবং ছাত্র নির্বাচনে ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েদের লড়াই করার সুযোগ নিশ্চিত করব।"