অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান। তিনি কি আদৌ রাজনীতিতে আর থাকবেন, ভোটে দাঁড়াবেন? এই প্রশ্নে জলঘোলা কম হয়নি। তবে দেব নিজেই তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন। জানালেন, তিনি সারাজীবন রাজনীতি করতে চান। কোন কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াবেন, তাও স্পষ্ট করলেন অভিনেতা-সাংসদ।
রবিবার প্রধানের সাকসেস পার্টিতে দেব জানান, ঘাটাল নিয়ে তাঁর স্বপ্ন আছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে দাবি করে দেব জানান, চিরকালই রাজনীতি করতে চান।
দেবের কথায়, 'অভিষেক এবং দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁরা আমাকে এমন একটা প্রস্তাব দেন ঘাটালের জন্য, ঘাটালের মানুষের জন্য, আমার মনে হল যে, এটার জন্য আমি সারাজীবন রাজনীতি করে যেতে পারি। আমাকে কাল এমনকিছু কথা বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যেগুলো সত্যি হবে। আমার মনে হয় ঘাটালের মানুষের ৭০ বছরের স্বপ্ন এবার রাজ্য সরকারের হাত ধরে পূরণ হবে। ঘাটালের মানুষের জন্য সেখানকার মাস্টার প্ল্যান অত্যন্ত জরুরি। যারা ঘাটালে থাকেন তাঁরা এটা বোঝেন। আমরা যারা কলকাতায় থাকি, তারা বুঝতে পারব না, ঘাটালের সমস্যাটা কতটা গুরুতর। ঘাটালের মানুষের স্বপ্নপূরণের জন্য আমি হয়তো আবার ঘাটাল থেকে দাঁড়াব।'
প্রসঙ্গত, ঘাটালের বন্যার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এর আগে দেব বলেন, 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রথম বার সংসদে কথা বলেছিলাম। আজ সংসদে শেষ দিন আমার। ১৯৫০ সাল থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে টানাপড়েন চলছে। ঘাটালের মানুষ কষ্টে আছেন।প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, এটা তৃণমূল বা বিজেপি-র সমস্যা নয়, সাধারণ মানুষের সমস্যা।'
ঘাটালের এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। শিলান্যাস হয় ১৯৮২ সালে। কিন্তু সেটা ২০২১ সালেও এসে আর বাস্তবায়ন হয়নি। মাঝে অনেক ডিপিআর জমা, ফাইল লেনদেন চলে। এই প্রকল্পের টাকা প্রথমে ঠিক হয় কেন্দ্রীয় সরকার ৭৫ শতাংশ দেবে এবং রাজ্য দেবে বাকি ২৫ শতাংশ। পরে সেটি বদলে ঠিক হয় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই ৫০ শতাংশ করে টাকা দেবে। কিন্তু ঘাটালের মানুষ এখনও এই প্রকল্পের কাজই দেখতে পাননি। কিন্তু নির্বাচন আসলেই এখানে অন্যতম ইস্যু হয়ে ওঠে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান।