চিকিৎসা না পেয়ে আরও একজনের মৃত্যুর অভিযোগ তুলল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা নন্দ বিশ্বাস নামের বছর ২৩-র ওই যুবককে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, 'চিকিৎসা না পেয়ে' তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাবার অভিযোগ, কোনও চিকিৎসা না করে তাঁর ছেলেকে ৪ দিন ফেলে রাখা হয়েছিল।
রানাঘাটের বাসিন্দা নন্দ দুবাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। মাস তিনেক আগে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তাঁকে বনগাঁর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরে নন্দর শরীরের অবস্থা অবনতি হলে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে কলকাতার আরজি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, ভর্তি নেওয়া হলেও কোনও ডাক্তার তাঁকে দেখেননি। নার্সরা স্যালাইন চালিয়ে দিয়ে যেতেন। ৪ দিন পরেই মারা যান নন্দ।
তৃণমূলের তরফে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করা হয়েছে। এই ঘটনার কথা তুলে ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের আবারও কাজে ফেরার আবেদন জানানো হয়েছে। তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 'তিনবার রাজ্য প্রশাসন অর্থপূর্ণ আলোচনার সুবিধার্থে এবং এই দুর্ভাগ্যজনক অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করেছে। তবুও, এই প্রচেষ্টাগুলি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ফলাফল? রানাঘাটের আর একটি যুবক আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার না পেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে এবং তাঁদের দায়িত্বে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।'
বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা না পেয়ে ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৭ লক্ষ মানুষ। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের সংখ্যা কম। প্রতিটি হাসপাতালেই সিনিয়র ডাক্তাররা পরিবেষা দিচ্ছেন।