কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে আজ, বুধবার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করল রাজ্য বিজেপি। এদিন যেখানে বিজেপির সভা হল , ন’বছর আগে সেখানেই সভা করেছিল গেরুয়া শিবির ৷ সেদিন মূলবক্তা হিসাবে ছিলেন অমিত শাহ ৷ এবারও রাজ্য বিজেপির মেগা ইভেন্টে প্রধান বক্তা হিসাবে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এই মঞ্চ থেকেই বঙ্গ বিজেপিকে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়ে গেলেন শাহ। মঞ্চ থেকে তৃণমূলমূলের জেলবন্দি ৩ নেতার নাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে গেলেন বিজেপির চাণক্য।
পার্থ, অনুব্রত, জ্যোতিপ্রিয়কে সাসপেন্ড করে দেখান: শাহ
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহের ভাষণে উঠে আসে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের একের পর এক সাফল্যের কথা। কাশ্মীর, করোনা, চন্দ্রযান, এমনকি, রাম মন্দিরের কথাও বলেন শাহ। রাজ্যের উন্নয়নে মোদী সরকার লাখো লাখো টাকা পাঠালেও তৃণমূলের সিন্ডিকেট তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে দেয় না বলেও অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এরপরেই সরাসরি তৃণমূলনেত্রীকে চ্যালেঞ্জ মোদী মন্ত্রিসভার নাম্বার টু-এর। শাহ ৩ জেলবন্দি তৃণমূল নেতার নাম তুলে বলেন, 'জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রত, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দুর্নীতির দায়ে জেলে। ক্ষমতা থাকলে এদের সাসপেন্ড করুন দল থেকে।'
ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, 'দিদি আপনার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে'। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, "২ কোটি ৩০ লাখ ভোট বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিদি দ্বিতীয়বার বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন। আমি বলছি, দিদি কান খুলে শুনে নিন শুভেন্দুজিকে আপনি বিধানসভার বাইরে বের করতে পারেন। কিন্তু, বাংলার জনতাকে চুপ করাতে পারবেন না। বাংলার মানুষ বলছে দিদি আপনার সময় এবার শেষ হয়ে গিয়েছে।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শাণাতে গিয়ে শাহ বলেন, যে বাংলা সাহিত্য-বিজ্ঞান-কলা-স্বাধীনতা আন্দোলনে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত সেই বাংলাকে আজ সবথেকে পিছনে আনার কাজ দিদি করেছেন। অমিত শাহ দাবি করেন, নির্বাচনী হিংসায় গোটা দেশের মধ্যে বাংলায় সবথেকে বেশি হয়। অনুপ্রবেশকারীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার আটকাতে পারে না। এখন ওদের প্রকাশেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেওয়া হচ্ছে।