অন্ধ্রপ্রদেশের ট্রেন দুর্ঘটনা কাণ্ডে রেলমন্ত্রককে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একের পর এক দুর্ঘটনা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের রেলযাত্রা নিরাপদ নয়। রেলের ঘুম কবে ভাঙবে? প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভিজিয়ানগরম জেলায় বিশাখাপত্তনম থেকে রায়গড়াগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। অপর একটি ট্রেনের ধাক্কা মারার ফলে এই দুর্ঘটনা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত ৫৪ জনেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলছে উদ্ধারকার্য। এই পরিস্থিতিতে রেলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক্স (X) হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'রেলের আরও একটি বিপর্যয়। এবার অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরম জেলায় দুই যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ জন মারা গিয়েছেন। কমপক্ষে ২৫ জন আহত।
দুই ট্রেনের ধাক্কা, বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে যাত্রীরা অসহায়। তাঁরা কোচে আটকে পড়ছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে। এরকম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বারবার হচ্ছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। দ্রুত উদ্ধার কার্য চালানোর পাশাপাশি তদন্তেরও দাবি করছি। রেলের ঘুম কবে ভাঙবে।'
রেল সূত্রে খবর, বিশাখাপত্তনম থেকে রায়গরা যাচ্ছিল একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। কান্তাকাপাল্লি এবং আলমাটটি স্টেশনের মাঝে আচমকাই ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে। ফলে সেখানেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। তখনই প্রায় ১০০ কিমি বেশি গতিতে ছুটে আসা পালাসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটিক ধাক্কা মারে। তখন একটি ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন বালাসোরের বাহানাগা বাজার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। সেই দুর্ঘটনায় ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন প্রায় হাজার খানেক ট্রেনযাত্রী।