"রেলের কারণেই মঝেরহাট ব্রিজের (Majerhat Bridge) কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে। আগে জানুন, খোঁজ নিন, তারপর বিক্ষোভ করুন।" মাঝেরহাট সেতু অবিলম্বে চালু করার দাবিতে বিজেপির (BJP) বিক্ষোভ ও মিছিলের প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। তিনি বলেন,"রেলের জন্যই নয় মাস পিছিয়ে গেছে মাঝেরহাট ব্রিজ সম্পন্ন করার কাজ। আর বহিরাগতরা এসে গণ্ডগোল করছে।" যদিও এর আগে বুধবার সেতু পরিদর্শনের পর ডিসেম্বরেই তা চালু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পূর্তমন্ত্রী।
মাঝেরহাট সেতু অবিলম্বে চালু করা দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় তারাতলা অঞ্চল। এদিন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয় বর্গীয়র নেতৃত্বে তারাতলা থেকে মাঝেরহাট সেতু পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল বিজেপির। কৈলাস বিজয়বর্গীয় আসার আগেই শুরু হয় মিছিল। মাঝপথেই মিছিল আটকায় পুলিশ। যার জেরে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা ও পরে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। মিছিলকারীরা গার্ড রেল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় লাঠিচার্জ। তাতে পরিস্থিতি ঘোরতর হয়ে ওঠে। পুলিশের লাঠির আঘাতে বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। আহত হয়ে রাস্তায় পড়েও থাকতে দেখা যায় অনেককে। কয়েকজনের মাথা ফেটে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি মহিলা কর্মীদেরও পুলিশ রেয়াত করেনি বলে দাবি বিজেপির। বহু বিজেপি কর্মী সমর্থকে এদিন গ্রেফতারও করে পুলিশ। এমনকি প্রধান রাস্তার পাশাপাশি সংলগ্ন গলিতে ঢুকেও গ্রেফতার করা হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। গ্রেফতারের পর পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।
এদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রথমে তাঁকেও একটি বাসের মধ্যে তুলে দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য বিজয়বর্গীয়কে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। তবে যতক্ষণ না দলের অন্যান্য কার্যকর্তাদের ছাড়া হচ্ছে ততক্ষণ তিনি ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। একইসঙ্গে এখানে গণতন্ত্র নেই বলে এদিন ফের একবার অভিযোগ করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।