বিস্ফোরক অভিযোগ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee)। তাঁর দাবি, বহু নেতা-মন্ত্রী-আমলা তাঁদের দুর্বলতম মুহূর্তের ছবি পাঠাতেন। তাঁরা যৌনতা ভিক্ষা চাইতেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই সব নেতা-মন্ত্রীর নাম করেননি ঠিকই। তবে তিনি সাফ জানিয়েছেন, অনেকেই ছিলেন সেই তালিকায়।
bangla.aajtak.in-এর 'ব্যক্তিগত'-অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেন বৈশাখী। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'অনেক এমন মহিলা আছেন যাঁরা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovon Chatterjee) মাঝ রাতে ছবি পাঠায়। আগেও পাঠাত। তাঁরাই যখন আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে তখন আমি তাঁদের সাবধান করে দিই। বলি, আমার সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। আপনারা কে কেমন আমি জানি।'
এরপরই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, 'অনেক পুরুষ আমাকে ছবি পাঠাতেন। দুর্বলতম মুহুর্তের ছবি। সেই তালিকায় ছিলেন অনেক নেতা-মন্ত্রী। মানে কী যে ছবি আসত, যখন আমার জীবনে শোভন ছিল না! কারণ, যেহেতু অনেকে জানত আমার বিবাহিত জীবন সুখের নয় তাই তাঁরা সুযোগ নিতেন। সেই সময় কত পুরুষ যে এসেছে। যারা তাঁদের বিভিন্ন ছবি আমার ফোনে নিশ্চিন্তে পাঠিয়ে দিত। অনেক মন্ত্রী আমলাও রয়েছেন সেই তালিকায়। মনে হয় তারা খুব বোকা। না হলে এমন কাজ কেউ করে? আমি এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারতাম। তবে নিইনি। আমি এদের নরকের কীট মনে করি। এরা তো ভালোবাসা চাইত না। আমার কাছে যৌনতা চাইত। তবে শোভন আসার পর সব বদলে গেছে। অনেকে সভ্য হয়ে গেছে।'
'ব্যক্তিগত' অনুষ্ঠানে বৈশাখী আরও বলেন, 'শোভনের সঙ্গে এখনও অনেক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় আছে। আগেও ছিল। তবে এখন নেই। আমি আসার পর থেকে শোভনের জীবনে দ্বিতীয় কোনও মহিলা আসেনি। কোনওদিন এমন হয়নি যে আমাকে শোভনের অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে হয়েছে।'
বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আরও দাবি, শোভন একমাত্র তাঁকে ছাড়া অন্য কোনও মহিলাকে 'I Love You' বলেননি। তাঁকেই একমাত্র বলেছিলেন। দুজনেই দুজনের খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দু জনের মধ্যে প্রথমে সাধারণ বন্ধুত্বই ছিল। পরে তা প্রেমে বদলে যায়। এই নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। বরং ভালোবাসা আছে।'
বৈশাখী আরও দাবি করেন, তিনি যখন স্বামীর ঘর ছাড়েন তখন তাঁর স্বামী তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'যে শোভন জামার থেকে থেকে বেশি মহিলা বদলান তাঁর সঙ্গে থাকতে পারবে?' যদিও সেই সময় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সেসব কথা না শুনেই স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন।