বাংলাদেশে অস্থিরতা এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি। কলকাতায় চিকিৎসা করতে আসা বাংলাদেশী রোগীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কলকাতায় বেশ কিছু হাসপাতাল সহ ইএম বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালগুলির একটি বড় অংশ বাংলাদেশী নাগরিকদের উপরে বেশ কিছুটা নির্ভরশীল। তার কারণ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে এসে এই হাসপাতালগুলির দ্বারস্থ হন সে দেশে নাগরিকরা। কিন্তু গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির পর থেকেই কলকাতায় ক্রমশ রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। গত সপ্তাহে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসতেই সেই সংখ্যা একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। বর্তমানে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গিয়েছে। আউটডোর থেকে শুরু করে ইনডোর ক্রমশ কমছে বাংলাদেশি রোগের সংখ্যা। ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। একই ছবি দেখা গেল কলকাতার নাম করা একাধিক বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে।
ডাক্তার অরিন্দম বিশ্বাস জানালেন, আগে যেখানে দশজন করে বাংলাদেশি রোগী আসত এখন সেখানে দুজন বাংলাদেশি রোগী আসছেন। গোটা ভারতে পরিসংখ্যান দেখলে ৪৬ শতাংশ বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভিসায় জটিলতার কারণে কলকাতাতে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০% এর উপরে কমে গিয়েছে।
এক বেসরকারী হাসপাতালের সিওও আজতক বাংলাতে বলেন- ছয় থেকে আট মাস আগে যেখানে প্রত্যেকদিন প্রায় আড়াইশো বাংলাদেশি রোগী আসতেন এখন সেই সংখ্যাটা ৭০ থেকে ৮০-তে এসে দাঁড়িয়েছে।
আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ঘটনার পর থেকে সংখ্যাটা ধীরে কমতে থাকে, এই মুহূর্তে সেই সংখ্যাটা সব থেকে কম এসে দাঁড়িয়েছে, আগের থেকে প্রায় অর্ধেক রোগী এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে হাসপাতালে আসছেন, ফোনে জানালেন আরও এক হাসপাতালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ডক্টর সুদীপ্ত মিত্র।
সংবাদদাতা- রাজেশ সাহা